সঙ্গী নন (নন পার্টনার) এমন ব্যক্তির মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হন ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৩, যা গ্রামে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের নারী নন পার্টনারের মাধ্যমে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
ঢাকায় এই নির্যাতনের হার ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম। সেখানে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ নারী নন পার্টনারের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এক অনুষ্ঠানে নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপে এসব তথ্য প্রকাশ করে।
জরিপে বলা হয়, ‘নন পার্টনার’ শব্দটি এমন যে কোনো ব্যক্তির জন্য ব্যবহার করা হয় যাকে সেই দেশ বা প্রেক্ষাপটে ‘সঙ্গী’ বলতে যেভাবে বোঝায় সে অনুযায়ী ‘সঙ্গী’ বলে মনে করা হয় না। নন পার্টনার বলতে তাই পিতামাতা, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়, বন্ধু, প্রতিবেশী, সহকর্মী, পরিচিত ও অপরিচিতদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন
যৌন নির্যাতনও বেশি বরিশালে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা বেড়েছেজরিপ মতে, নন পার্টনার বলতে উত্তরদাতার বর্তমান বা প্রাক্তন স্বামী ছাড়া অন্য যে কাউকে বোঝায় যার সঙ্গে সে ১৫ বছর বয়সের পর যে কোনো সময় সংস্পর্শে এসেছে।
নন পার্টনারের মাধ্যমে নির্যাতনের হার কম রাজশাহী বিভাগে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া বরিশালে ১৫ দশমিক ৮, খুলনায় ১৫ দশমিক ৭, ময়মনসিংহে ১৫ দশমিক ৯, রংপুরে ১৪ দশমিক ৮ ও সিলেটে এর হার ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত ১২ মাসেও সর্বোচ্চ নন পার্টনার ভায়োলেন্স হয়েছে ঢাকায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হার কম রাজশাহীতে ২ দশমিক ৮ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ৯, চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৫, খুলনায় ৪, ময়মনসিংহে ৩ দশমিক ২, রংপুরে ৩ দশমিক ৬ এবং সিলেটে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
এমওএস/বিএ/এমএস