দেশজুড়ে

বরিশালে সাংবাদিকদের মারধরের মামলায় ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার

বরিশালে দুই সাংবাদিককে মারধর ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর মামলায় মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. আলমাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ওই মামলার দুই নম্বর আসামি।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) গভীর রাতে বরিশাল নগরীর বান্দ রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নগরীর কোর্ট কম্পাউন্ডের সামনে সাংবাদিকদের মারধর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনার আসামি আলমাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।

আরও পড়ুন: ডাকাতের ছবি তোলায় সাংবাদিকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিলেন ছাত্রদল নেতা সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ ১২ জনের নামে মামলা

বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে ছাত্রদল নেতা সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে ১২-১৫ জন স্থানীয় দৈনিকের ফটো সাংবাদিক এন আমিন রাসেল ও মনিরুজ্জামানের ওপর হামলা হয়। তাদের মারধর করাসহ, ক্যামেরা, দুটি মোবাইল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও নগদ টাকা লুটসহ আদালতের ফটকেই সাংবাদিকদের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীসহসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।

এদিকে বরিশালের আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিক এন আমিন রাসেল ও মনিরুল ইসলামের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলায় ঘটনায় মহানগর বিএনপি, দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনেরসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। সেইসঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

শাওন খান/এমএন/এএসএম