আবহাওয়া জানান দিচ্ছে ঈদের দিন বেশ গরম থাকতে পারে। বিশেষ এই দিনে সকাল থেকে সাজগোজ, বন্ধুদের বাসায় ঘোরাঘুরি, কিংবা বাসায় অতিথি আপ্যায়নেই কেটে যায়। তবে গরমে মেকআপ ঠিক রাখা একটু কঠিন বটে। গরমে বাসায় থাকুন কিংবা বাইরে সাজ রাখুন হালকা।
পোশাকের সঙ্গে মানানসই হালকা মেকআপ করুন। এতে আপনাকে দেখতে যেমন স্নিগ্ধ লাগবে, সেই সঙ্গে ছবিও ভালো আসবে। চলুন ঈদের দিনের সাজ কেমন হতে পারে সেটা জেনে নেওয়া যাক।
সকালের সাজযদি সকালের দিকটা বাড়িতে থাকেন তাহলে সুতি আরামদায়ক একটি পোশাক পরতে পারেন। সকালে খুব বেশি গরম থাকে না তারপরও ঘরে ভারী মেকআপ না দিয়ে হালকা একটি স্নিগ্ধ সাজ রাখতে পারেন।
প্রথমে ত্বক প্রিপেয়ার করুন সিরাম, ময়েশ্চারাইজার এবং প্রতিদিনের ব্যবহারের সানস্ক্রিন দিয়ে। এরপর লুজ পাউডার বা ফেস পাউডার দিয়ে কাভার করতে পারেন। আইব্রো এঁকে নিন হালকা করে। চোখে হালকা শ্যাডো, কাজল কিংবা শুধু মাশকারা ব্যবহার করুন। লিপস্টিপ, ব্লাশন এবং পারফিউম লাগিয়ে নিন। চুলগুলো বেঁধে রাখতে পারেন গুছিয়ে।
সব কাজ শেষে দুপুরের খাবারের পরে অনেকেই বিকালে এদিক সেদিক ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেন। আবার অনেক সময় বিকালে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা বেড়াতে আসেন। সেক্ষেত্রে বিকালের সাজে একটু স্নিগ্ধ আভা থাকতে হবে সাজে।
যদি ঘরেই থাকেন তাহলে আরামদায়ক পোশাক পরুন। নতুন কোনো সালোয়ার কামিজ পরুন। চাইলে শাড়িও পরতে পারেন। আর যদি বাইরে যান তাহলে একটু ভারী পোশাক পরতেই পারেন। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে সাজুন এ সময়।
ফুল কভারেজ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে উজ্জ্বল আইশ্যাডো, ব্লাশন, হাইলাইটার ও গাঢ় লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন পছন্দসই। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত সাজবেন না। এ সময় যখন তখন বৃষ্টি হতে পারে, তাই বোইরে যাওয়ার সময় ওয়াটারপ্রুভ মেকআপ ব্যবহার করুন। তাহলে বৃষ্টিতে ভিজলেও মেকআপ নষ্ট হবে না।
রাতের সাজঈদের রাতে অনেকেই বিভিন্ন দাওয়াতে যান কিংবা নিজেদের মতো করে ঈদ উদযাপন করতে বিভিন্ন প্ল্যান করেন। সেক্ষেত্রে রাতের সাজে একটু ভিন্নতা আনুন। ঝলমলে পোশাক পরতে পারেন। রাতের সাজ কিছুটা গর্জিয়াস হলে ক্ষতি নেই।
উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরুন। মেকআপের ক্ষেত্রে নিজেকে অতিরঞ্জিত করবেন না। একে একে আইব্রো, চোখ সাজিয়ে নিন নিজের মতো করে। তারপর কন্টোরিং, ব্লাশন, হাইলাইটার ব্যবহার করে গাঢ় লাল, গোলাপি বা পছন্দের রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
চুল ছেড়ে রাখতে পারেন। বড় চুল হলে ফ্রেঞ্জ বেণী কিংবা পনিটেইলও করতে পারেন। চাইলে হেড ব্রেইড ব্যান্ডগুলোও পরতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে জুয়েলারি পরুন। পোশাকে ভারি কাজ থাকলে হালকা জুয়েলারি পরুন। আর সিম্পল পোশাকের সঙ্গে পছন্দসই জুয়েলারি, চুরি ইত্যাদি পরতে পারেন।
আরও পড়ুন
ইফতারে রাখুন বাহারি সব পুষ্টিকর খাবার রোজায় শরীরচর্চা কখন করবেন?কেএসকে/এমএস