জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে পরিবেশনের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার, তামাকের ক্ষতি কমানো ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পরিকল্পনা ও সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশন।
এ লক্ষ্যে সরকারের নীতিনির্ধারক, সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্টজন ও বিশেষজ্ঞদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিখাতে নিরাপদ কীটনাশক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ গ্রুপ প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার দেবাশীষ চ্যাটার্জি বলেন, অসুরক্ষিতভাবে কীটনাশক ব্যবহার এখনো কৃষক ও পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে আছে। আমাদের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে হলে প্রশিক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি।
সড়ক দুর্ঘটনাকে দেশের অন্যতম জনস্বাস্থ্য সংকট উল্লেখ করে রোড সেফটি অ্যাডভোকেট ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের শুধু যানবাহনের কথা ভাবলেই চলবে না; নিরাপদ সড়ক, দক্ষ চালক এবং কার্যকর ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের বিষয়েও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে অনেক আগেই একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া উচিত ছিল।
আরও পড়ুনসবচেয়ে বেশি কীটনাশকের ব্যবহার হয় ফল ও সবজিতেজনবসতি এলাকায় ইটভাটা, গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসনআন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও হার্ম রিডাকশন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক ডেলন হিউম্যান তামাকজনিত রোগ কমাতে বিকল্প পন্থার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শুধু নিষেধাজ্ঞা কার্যকর সমাধান নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে তামাক নিয়ন্ত্রণের প্রথাগত পদ্ধতির সঙ্গে নিকোটিনের নিরাপদ বিকল্পও বিবেচনায় নিতে হবে। সঠিকভাবে এই পদ্ধতিগুলো যদি জনস্বাস্থ্য নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে অনেক ক্ষতি কমানো সম্ভব।
এ সময় হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড. মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, হার্ম রিডাকশন কোনো বিলাসিতা নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আমাদের লক্ষ্য সমাজ, নীতি নির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করে কার্যকর সমাধান তৈরি করা, যা আমাদের দেশের জন্য উপযোগী হবে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে পরিবেশেবান্ধব নয় এমন কীটনাশকের ব্যবহার কমানো, তামাকের ক্ষতিহ্রাস এবং সড়ক নিরাপত্তা- এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য, কৃষি ও সড়ক পরিবহণ খাতের বিশেষজ্ঞরা তাদের সংশ্লিষ্ট খাতের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
আরএএস/ইএ/জেআইএম