জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সারাদেশের বেসরকারি কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী—পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে পেশাজীবী হিসেবে এমবিবিএস চিকিৎসক, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এবং আইনজীবীরা মনোনীত হতে পারবেন। এ নির্দেশনা জানিয়ে সব কলেজ অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এ প্রজ্ঞাপন ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আকারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা কলেজের ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ও স্কুলের ক্ষেত্রে স্নাতক পাস হতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনের পরেও দেশের বিভন্ন কলেজে পরিচালনা কমিটি গঠনে অযোগ্যদের মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত দেশের সব বেসরকারি কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও অ্যাডহক কমিটি বাতিল করা হয়। পরে নির্দেশনার মাধ্যমে অ্যাডহক কমিটি করে ছয়মাসের নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে, শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন নতুন করে জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কলেজের অ্যাডহক কমিটির জন্য সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে অযোগ্যদের দৌরাত্ম্য কমবে। অযোগ্য ব্যক্তিরা শিক্ষকদের ওপর খবরদারি করতে পারবেন না। অন্যদিকে চিকিৎসক-ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবী পেশার মানুষও শিক্ষাসেবায় নিজেদের নিয়োজিত করার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির বরিশাল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল জাগো নিউজকে বলেন, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদে এমবিবিএস ডাক্তার, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এবং আইনজীবীরা মনোনীত হতে পারার যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। এর ফলে বেসরকারি কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা করি।
এএএইচ/বিএ