শিক্ষা

‘অসন্তুষ্ট’ শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করে ইউআইইউ ছাড়ার নির্দেশ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের পক্ষ থেকে অচলাবস্থা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সম্ভব হয় না। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড়। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ইউআইইউ জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে যারা অসন্তুষ্ট বা নারাজ, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হবে। সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা ভর্তি বাতিলের জন্য আবেদন করলে তাদের চলতি সেমিস্টারের ফি ফেরত দেওয়া হবে।

রোববার (১৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) পক্ষ থেকে দেওয়া খোলা চিঠিতে এসব কথা জানানো হয়। চিঠিটি ইউআইইউ’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন ও দাবি-দাওয়ার বিষয়েও অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। এরপর বলা হয়, ‘আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার পরও ইউআইউতে যারা সন্তুষ্ট নন, তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা ইউআইইউ ত্যাগ করুন। আগামী ২৬ মে’র মধ্যে ভর্তি বাতিলের আবেদনপত্র জমা দিন।’

ভর্তি বাতিলের আবেদন করলে এক সেমিস্টারের ফি’র টাকা ফেরত দেওয়া হবে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ ভর্তি বাতিলের আবেদন করা শিক্ষার্থীদের চলতি সেমিস্টারে দেওয়া টিউশন ফির সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেবে। ২৬ মে তারিখের পর আর কোনো ভর্তি বাতিলের আবেদন গ্রহণ করা হবে না।’

‘আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু শিক্ষার্থী ইউআইইউ-এর নীতিমালায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে, যা ইউআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজে অনুমোদিত। আমাদের শিক্ষার্থীদের বড় অংশই পড়ালেখায় মনোযোগী। ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।’

চিঠিতে বলা হয়েছে, সামান্য ভুল-বোঝাবুঝির যে ঘটনা ঘটেছে, তা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী এমন আচরণে লিপ্ত, যা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের মর্যাদার পরিপন্থি। ইউআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ মনে করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইউআইইউ-এর অন্য শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’

এএএইচ/এমকেআর/জিকেএস