দেশজুড়ে

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন নুসরাত ফারিয়া

গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়া।

Advertisement

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি জামিনে কারাগার থেকে বের হন।

এরআগে ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোছা. কাওয়ালিন নাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

তিনি জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কারাগারে নুসরাত ফারিয়ার জামিনের কাগজপত্র পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এরআগে রোববার (১৮ মে) দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাজধানীর ভাটারা থানার এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় নুসরাত ফারিয়াকে।

আরও পড়ুন

জামিন পেলেন নুসরাত ফারিয়া নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতার বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে মেয়ের সঙ্গে আদালতে দেখা করতে পারেননি ফারিয়ার মা নুসরাতের গ্রেফতার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা/আপনারাই প্রশ্ন তুলতেন, স্যার আপনি ছেড়ে দিছেন

পরের দিন সোমবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

Advertisement

অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করে তার আইনজীবীরা। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই ভাটারা থানা এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন মামলার বাদী এনামুল হক। ওইদিন আসামিদের ছোঁড়া গুলি ভুক্তভোগীর পায়ে লাগে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে চলতি বছরের ৩ মে মামলা করেন তিনি।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১৭ শিল্পীসহ ২৮৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় নুসরাত ফারিয়া ২০৭ নম্বর আসামি। মামলায় তাকে আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

মো. আমিনুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস