চুপচাপ এক নদী বয়ে যায় বুকের ভেতর,পাড়ে দাঁড়ানো এক জোড়া চোখ-প্রতীক্ষার মতো। সে চোখে প্রশ্ন, বিশাল আকাশ পানে চেয়েকবে উঠবে সূর্য, আসবে রৌদ্র, আর কবেইবা পূর্ণিমা?
আমি যেন এক মাঝি, হাতে নেই বৈঠা,কিংবা ঘুড়ি, যাকে কেউ আকাশে ছুঁড়েছেকিন্তু নাটাই মুষ্টিবদ্ধ রেখেছে।পেছনের গল্পে কিছু ইচ্ছা, কিছু অসমাপ্ততাআর সামনে? চেনা কোনো পথ নেই-তবুও হাঁটছি।
কেউ কেউ ভাবে, হয়তো আমি ভুল পথে হেঁটেছি, কেউ কেউ ভাবে, বুঝি এই চোখে আর নেই স্বপ্ন।কিন্তু জানে না তারাঘুমহীন রাতেরা লিখেছে জীবনের পাতায়, যেখানে শব্দেরা স্বপ্নালোকে পূর্ণতার ছবি আঁকে,আর আমি প্রতিদিন লুকিয়ে রাখি নিজের না-পাওয়া কথাগুলো।
আমি আর দুইটা ‘নাই’ পড়া মানুষের মতোক্লাসে বসেও শুনতে পাই না শিক্ষকের লেকচার,জীবনও যেন সেরকমই এক ক্লাস, যেখানে পাঠ্যপুস্তক আর সিলেবাস বিহীন কারিকুলাম পরীক্ষা নিতে আসে হঠাৎ।
তবু আশাএকটি ফুল ফুটবেই, হয়তো শত কাঁটার মাঝে,একদিন ঠিকানা একটা হবেই, হয়তো বিজ্ঞপ্তির বাইরে।আর তখন, নদীর ওপার থেকে কেউ বলবে‘তুমি যে পারবেই, আমি তা জানতাম।ভালোবাসি আজও যেমন ভালোবেসে পাশে ছিলাম।’
এসইউ/এমএস