৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএসের মাধ্যমে তিন হাজার শূন্যপদে শুধু চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে দুই হাজার ৭০০ সহকারী সার্জন পদ এবং ৩০০টি সহকারী ডেন্টাল সার্জন।
তবে নতুন পদ সৃষ্টি, পদ বিলুপ্তি, পদোন্নতি, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগ অথবা অপসারণ ইত্যাদি কারণে বিজ্ঞাপিত শূন্যপদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে পিএসসি।
বিশেষ এ বিসিএসে অনলাইন আবেদন শুরু হবে আগামী ১ জুন। এদিন সকাল ১০টা থেকে আবেদন ও ফি জমা দেওয়া যাবে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ, ২৮ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফি জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা।
কোনো প্রার্থী ফি জমা দিয়ে চূড়ান্তভাবে অনলাইনে আবেদন করার পর পুনরায় আবেদন করতে পারবেন না। কেউ মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে একাধিকবার ফরম পূরণ করলে যে কোনো স্তরে তা বাতিল করা হতে পারে।
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে যারা উত্তীর্ণ হবেন, তাদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে।
আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত, ক্লাসে ফিরছেন রোববারচিকিৎসক নিয়োগে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, শূন্যপদ ৩০০০তিন হাজার চিকিৎসক নিয়োগে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি আজকোনো বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা থাকবে না। ফলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এ বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ এবং নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি।
পরীক্ষার সময় ও নম্বর বণ্টনবিশেষ এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে দুই ঘণ্টা। ২০০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ২০, ইংরেজি ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, মানসিক দক্ষতা ১০ ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
বাকি ১০০ নম্বর থাকবে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার ও পদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয় থেকে। চিকিৎসক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেডিকেল সায়েন্সের বিষয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
এছাড়া লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি এমসিকিউর (বহুনির্বাচনি) জন্য ১ নম্বর থাকবে। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে।
শুধু ঢাকাতেই হবে পরীক্ষাসাধারণ বিসিএসের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা পরীক্ষাগুলো ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুধু রাজধানী ঢাকায়। তবে প্রার্থীর সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয়তা প্রতীয়মান হলে ঢাকার বাইরেও অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হতে পারে।
এএএইচ/এমআরএম/জেআইএম