জাতীয়

আজহারের মামলার রায় আজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর  সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আজ মঙ্গলবার।তার বিরুদ্ধে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন, অপহরণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ রয়েছে।বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল সোমবার রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন। এর আগে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।ওইদিন শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে এ টি এম আজহারুল ইসলামের সর্বোচ্চ সাজা শাস্তি মৃত্যুদন্ড চেয়েছে প্রসিকিউশন। আর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি দাবি করে অভিযুক্তের খালাস চেয়েছে আসামি পক্ষ।রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে ১ হাজার ২২৫ ব্যক্তিকে হত্যা, চারজনকে খুন, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও নির্যাতন এবং শতশত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে।অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আজহার তখন রংপুরের কারমাইকেল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রংপুর শাখার সভাপতি। জেলার আলবদর বাহিনীরও নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।এছাড়া আজহার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র ও তা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে অপরাধ সংঘটন করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল এটিএম আজহারের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু হয়। ওইবছর ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।তদন্ত শেষে প্রসিকিউটর এ কে এম সাইফুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম মুক্তা গতবছর ১৮ জুলাই আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর  নভেম্বরে অভিযোগ গঠন করে ২৬ ডিসেম্বর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এম ইদ্রিস আলীসহ প্রসিকিউশনের পক্ষের মোট ১৯ জন সাক্ষ্য দেন। তবে সপ্তম সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে বৈরি ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর ৩ ও ৪ আগস্ট আজহারের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন আনোয়ারুল হক।