উত্তরের ঈদযাত্রা এবারো আনন্দ ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে দাবি করছে জেলা, হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তাদের দাবি, গাড়ির চাপ বাড়লেও কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরবে মানুষ। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে সরেজমিন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২টি জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার যমুনা সেতু। ফলে এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৭-২০ হাজার পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। ঈদের সময় এই সংখ্যা বেড়ে যায় তিনগুণ। ফলে এসময় যানজটে আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কিন্তু ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চারলেন ও যমুনা রেল সেতু চালু হওয়ায় চিরচেনা এই যানজট দূর হয়েছে।
ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের বাসচালক আলমগীর সেখ জাগো নিউজকে বলেন, এবার ঈদের ছুটির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও সেনাবাহিনীর তৎপরতা বেশ বেড়েছে। এমন তৎপরতা থাকলে আমরা রাতে নির্ভয়ে গাড়ি চালাতে পারবো।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জাগো নিউজকে বলেন, এবার ঈদে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও দুর্ভোগের কোনো শঙ্কা নেই। তাছাড়া যানজট নিরসনে ছয় শতাধিক জেলা পুলিশ, একশো হাইওয়ে ও অর্ধশত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবে।
Advertisement
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, এবারও মহাসড়কে যানজট নিরসনে যমুনা সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হবে। যার চারটি বুথ শুধু মোটরসাইকেলের জন্য স্থাপন করা হয়েছে। পরিবার ও পরিজন নিয়ে কোনো যানজট ছাড়াই এবারও উত্তরের মানুষ ঘরে ফিরবে বলে তিনি দাবি করেন।
হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নির্মাণাধীন ইন্টারচেঞ্জের সার্ভিস সড়ক খুলে দেওয়ায় এবারও ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হবে। একটু চাপ থাকলেও কোনো জট হবে না। ফলে স্বস্তি নিয়েই ঘরে ফিরবে মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কের কোথাও যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই। তাছাড়া যানজট রোধে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিম ও মোটরসাইকেল টিম দায়িত্ব পালন করছে।
এম এ মালেক/এফএ/এএসএম
Advertisement