দেশজুড়ে

কুয়াকাটায় ইউএনওর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

কুয়াকাটায় ইউএনওর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার, স্টুডিও মালিক ও স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে রাখাইন মার্কেট চৌরাস্তা ঘুরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব চত্বরে শেষ হয়। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ছবি তুলে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত স্টুডিওগুলোর তালা ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

জানা যায়, দু’দিন আগে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয় সৈকত এলাকায় সকল স্টুডিও বন্ধ থাকবে এবং ইউএনও দুটি স্টুডিও দেবেন। ওই স্টুডিওতে ছবি প্রিন্ট করতে হবে। আলোকচিত্রী ও স্টুডিও মালিকদের হাতে পর্যটকরা হয়রানির শিকার হন। মূলত এ কারণে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

এদিকে ফটোগ্রাফার ও স্টুডিও মালিকরা জানান, যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ করে, তাকে শাস্তির আওতায় নেওয়া হোক, কিন্তু ইউএনও খামখেয়ালিপনা করে কুয়াকাটার সকল স্টুডিও বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে আমরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিই। দু’দিন কর্মবিরতি থাকার পর সোমবার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য মতিউর রহমান তাদের জানান, ইউএনওর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তোমাদের দাবি ইউএনও সাহেব মেনে নিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ মঙ্গলবার তালাবদ্ধ দোকানের তালা ভেঙে সব মালামাল নিয়ে যান মোবাইল কোর্টের নামে।

Advertisement

ইউনিট স্টুডিওর পরিচালক মো. কাওসার, ফাহিম স্টুডিওর মালিক মো. শাওন, তাওহীদ স্টুডিওর মালিক মো. শাহীন গাজী ও শেখ স্টুডিওর মালিক মো. হোসেন শেখ এ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভ মিছিলে তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন আলোকচিত্রী, স্থানীয় ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষসহ অনেকেই।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক মো. রবিউল ইসলাম জানান, এখানে স্টুডিও থাকবে না, কমিশন প্রথা থাকবে না এবং পর্যটকরা স্বাধীনভাবে ছবি তুলবেন। মাঝখানে কোনো কমিশনম্যান থাকবে না। এজন্য এটা করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির। উপজেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। এর আগে তাদেরকে দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সরিয়ে নেননি। তাই আজ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

রোববার (১ জুন) সকাল থেকে ফটোগ্রাফাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন এবং কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটি তাদের ধর্মঘটের বিষয়টিতে কোনো পাত্তা দেয়নি। কুয়াকাটায় আলোকচিত্রী ও স্টুডিও মালিক কর্তৃক পর্যটক হয়রানি বন্ধ এবং সৈকতের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয় এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অনড় থাকে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/এএসএম

Advertisement