এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকার পর জরুরি বিভাগ চালু করেছে রাজধানীর চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। বুধবার (৪ জুন) সকাল থেকে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে সেবা কার্যক্রম চলছে। তবে বহির্বিভাগ ও ইনডোর বন্ধ আছে এখনও।
সকালে হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা জরুরি বিভাগ চালু করেছি। আমিও হাসপাতালে আছি। তবে বহির্বিভাগ বা ইনডোরের কোনো সেবা দিতে পারবো না এখন।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক জানে আলম ও সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার সরকার নিজেই জরুরি বিভাগে সেবা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার (২৮ মে) কর্মবিরতি পালন করছিলেন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জরুরি বিভাগ ছাড়া নিয়মিত অস্ত্রোপচার থেকে শুরু করে সব চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিল। যার কারণে দিনের সকাল থেকেই এ নিয়ে হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগী ও সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে স্টাফদের কথা কাটাকাটি হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর চিকিৎসক ও রেজিস্ট্রার মাহফুজ আলম বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। যাদের পূর্ব নির্ধারিত অস্ত্রোপচারের তারিখ ছিল, তাদের পরবর্তীতে ফোনে ডেকে এনে অস্ত্রোপচার করে দেবেন বলে জানান। এতেও সেবাপ্রার্থীরা সন্তুষ্ট হননি। তারা হই হুল্লোড় ও হট্টগোল শুরু করেন। চিকিৎসক ও নার্সদের দিকে তেড়ে আসেন। এসময় আনসাররা থামাতে গেলে হাতাহাতি হয়। স্টাফ ও সেবা প্রার্থীদের মধ্যেও ধাক্কাধাক্কি হয়।
এ উত্তেজনা পুরো হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়লে ভেতরের সব ওয়ার্ডের কলাপসিবল গেট আটকে তালা দিয়ে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। বিষয়টিকে নিজেদের জন্য আতঙ্কের বা আক্রমণ হতে পারে এমন আশঙ্কায় উল্টো তালা ভেঙে জুলাই যোদ্ধারা লাঠিসোঁটা, রড হাতে ডাক্তার, স্টাফ ও সেবাপ্রার্থীদের এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করেন। তাদের সঙ্গে এসে যোগ দেন পঙ্গু হাসপাতালে থাকা জুলাই যোদ্ধারাও। এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ ১৫ জন আহত হয়। আতঙ্কে চিকিৎসক নার্স ও স্টাফসহ বেশিরভাগই হাসপাতাল ছেড়ে যায়। কেউ কেউ ভেতরে আটকে গেলেও সেনাবাহিনী এসে উদ্ধার করে। বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। এরপর থেকে হাসপাতালে যাচ্ছেন না চিকিৎসক, নার্সসহ স্টাফরা।
এসইউজে/এসএনআর/এমএস