জাতীয়

শহীদ মিনারে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা, পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি

শহীদ মিনারে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা, পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি

অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চেয়ারম্যানের অপসারণসহ সাত দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ ১৫তম দিনের মতো তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন। তবে শহীদ মিনার এলাকায় আজ পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।

Advertisement

বুধবার (৪ জুন) বিকেলে সরেজমিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় দেখা যায়, দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন পল্লী বিদ্যুতের হাজারো কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা বলছেন আন্দোলনের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় পুলিশের প্রিজনভ্যান, ওয়াটার ক্যানন রাখা হয়েছে৷ এদিকে শহীদ মিনারে আন্দোলনরতদের ওপর যদি কোনো হামলা হয়, তাহলে সকল কর্মীকে কাজ রেখে স্টেশন ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন।

আরও পড়ুন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কাজে ফেরার অনুরোধ শহীদ মিনারে পল্লী বিদ্যুতের মহাসমাবেশে যোগ দিলেন হাজারো কর্মী

পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের দাবিগুলো হলো—

Advertisement

১. পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ২. ‘এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ' অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন৩. মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পৌষ্যকর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ৪. মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল৫. গ্রাহকসেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সকল হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করতে হবে৬. জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে৭. পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণসহ দুই দফা দাবিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী।

এনএস/বিএ/এমএস

Advertisement