দেশজুড়ে

বরিশালে বিদ্যুৎ বিপর্যয়, কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা

বরিশালে বিদ্যুৎ বিপর্যয়, কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা

বরিশালের মুলাদীতে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩ জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের মুলাদী আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় সংস্থার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

এর আগে গত দুদিন ধরে মুলাদীতে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যবস্থা। দিন-রাত মিলিয়ে ছয় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ ছিল না। এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

মুলাদী পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী ও হিজলা উপজেলা এবং মেহেন্দীগঞ্জের কাজিরহাট থানায় পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৮২ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বরিশাল থেকে মুলাদী উপকেন্দ্রের লাইনের মাধ্যমে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ১ জুন সন্ধ্যার পর গ্রিডের ইনকামিং ব্রেকার বিস্ফোরণ হওয়ায় মুলাদী ও হিজলায় সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দেয়।

Advertisement

মুলাদীর বাসিন্দা মো. রাকিব বলেন, ‘দিন-রাত মিলিয়ে ছয় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার টানা ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকার পর সরবরাহ চালু হয়। পরে দিনগত রাত ২টার দিকে আবার চলে যায়। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কার্যালয় ঘেরাও করে বিদ্যুতের দাবিতে স্লোগান দেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।’

এ বিষয়ে মুলাদী পল্লী বিদ্যুতের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ বলেন, বরিশাল থেকে মুলাদী উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। অনেক সময় বরিশাল গ্রিডে সমস্যার জন্য সরবরাহে ঝামেলা দেখা দেয়। এছাড়া ঝড়বৃষ্টিতে লাইনের ওপর গাছপালা ভেঙে পড়ে বা বজ্রপাতে ইনসুলেটর ভেঙে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। তবে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা থাকে। আশা করছি, আগামীকালের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

হামলার বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ৪০-৫০ জন বিক্ষুব্ধ জনতা পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয় ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শাওন খান/এসআর/এমএস

Advertisement