দেশজুড়ে

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চাপ বেড়েছে, থেমে থেমে চলছে গাড়ি

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চাপ বেড়েছে, থেমে থেমে চলছে গাড়ি

আর মাত্র দুইদিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। ঈদের আগে আজ সরকারি অফিসে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় বুধবার (৪ জুন) দুপুরের পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। রাতে এ চাপ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক যাত্রী গণপরিবহন না পেয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপে করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসের ছাদে করেও বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। তবে যানজট সৃষ্টি না হলেও যানবাহনের ধীরগতির কারণে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের গোড়াই থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার এলাকায় জেলা পুলিশের ছয় শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পাশাপাশি র‍্যাব ও সেনাবাহিনীও নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে।

মহাসড়কে টহলরত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, সরকারি অফিস ছুটির পর রাতের দিকে যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। তবে এখনো বড় ধরনের যানজটের সৃষ্টি হয়নি।

Advertisement

আরও পড়ুনঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত গোর-এ শহীদ ময়দান 

মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক ও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যমুনা সেতুর উভয় পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি টোল বুথ চালু রয়েছে। এর মধ্যে প্রতি পাশে ২টি করে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা বুথ খোলা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, মহাসড়কে পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। এই সড়ক দিয়ে অন্তত ২৩ জেলার ৯৮ রুটের যানবাহন চলাচল করে।

Advertisement

আব্দুল্লাহ আল নোমান/কেএসআর