সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তিন শতাধিক কৃষকের প্রায় ৭৫০ বিঘা জমির পাকা ও আধাপাকা ধান তলিয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
Advertisement
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামের হুরাসাগর নদীর তীর ঘেঁষে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ হঠাৎ আকস্মিক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। জমিতে নৌকা নিয়ে ২-৩ ফুট পানির মধ্যেই ধান কাটছেন কেউ কেউ। আবার ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মিলছে না শ্রমিক।
উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম রওশন জানান, এবার ১১ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। শেষ মুহূর্তে সব ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। আমার সব শেষ হইয়া গেছে বাবা। এখন পরিবার নিয়া না খাইয়া মরতে হবে।
শুধু রফিকুল ইসলাম নয় হুরাসাগর নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামের নিমাইগাড়া বিলের তিন শতাধিক কৃষকের প্রায় ৭৫০ বিঘা জমির পাকা ও আধাপাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
Advertisement
মোহাম্মদ আলী নামে আরেক কৃষক বলেন, আমরা কৃষক মানুষ। প্রতি বছর ধান চাষ করি। কিন্তু এবার ধান কাটার সময়ে পানিতে ডুবে গেছে৷ এখন সারা বছর কীভাবে চলবো সেই চিন্তা করছি৷ ধান বিক্রি করেই চলে সংসার। তার ১০ বিঘা জমির পাকা ধান তলিয়ে গেছে বলে তিনি দাবি করেন।
শাহজাদপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৭৫০ বিঘা জমির পাকা ধান ডুবে গেছে। তিনি নিজেও ঘুরে দেখেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনার চেষ্টা করবেন তারা।
এম এ মালেক/আরএইচ/জেআইএম
Advertisement