পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে এখনো যানজট রয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে স্বল্প পরিমাণ যানবাহন পারাপার হলেও ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
Advertisement
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত যানবাহন আসার কারণে যানবাহন জমতে থাকে। রাত ৩টার দিকে যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌরুটে ১৬টি ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৬টি ফেরি চলাচল করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মজীবী শত শত মানুষ ফেরি ও লঞ্চে নদী পারাপার হয়ে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন এ রুটে চলাচল করতো। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা কমে এসেছে। তবে ঈদের সময় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ঘাট এলাকায় আনুমানিক প্রায় তিন শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে। স্বল্প পরিমাণ যানবাহন ফেরি পারাপার হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে জমতে থাকে যানবাহন। অপরদিকে যমুনা সেতুতে দীর্ঘ যানজট থাকার কারণে আরিচা-কালিরহাট নৌরুটে শুক্রবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। আরিচার ঘাটের শিবালয় থানা মোড় থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়।
Advertisement
পাবনাগামী আছমা শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, সকালে আরিচা ঘাটে আসছি। এখনো ঘাটের দেখা পাই নাই। হয়তো কিছুক্ষণ পর হয়তো ফেরিতে উঠতে পারবো। আমার বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্ট হয়ে গেলো।
রাজবাড়ীর এনামুল হক বলেন, গাবতলী থেকে ভালোমতো এসেছি। ঘাটে এসে দেখি খারাপ অবস্থা। অনেক যানজট দুই ঘণ্টা হয় ঘাটে এসে পৌঁছেছি। জানিনা কখন যেতে পারব। কোরবানি ঈদের খুব একটা বাড়ি যাওয়া হয় না। ৬ বছর পর বাড়িতে কোরবানি ঈদ করতে যাচ্ছি কপাল খারাপ তাই ঘাটে এসে দুর্ভোগে পড়েছি।
বাসচালক ইমরান জাগো নিউজকে বলেন, কাল রাতেও এখানে ছিলাম। ঘাটের অবস্থা ভালো না। এভাবে থাকলে মানুষের জীবন চলে না। এখানে আছি দুই ঘণ্টা হলো।
বিআইডব্লিউটিসি উপ-মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুস সালাম জাগো নিউজকে বলেন, আজ একটু চাপ বেড়েছে। আশা করি কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এখন ১৬টি ফেরি পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুটে ও আরিচা- কাজিরহাট নৌরুটে ৬ ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যমুনা সেতুতে দীর্ঘ যানজট হওয়ার কারণে আজ সকাল থেকে আরিচা- কাজিরহাট নৌরুটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
Advertisement
মো. সজল আলী/আরএইচ/এমএস