বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৪ হাজার ২০০ প্রান্তিক পরিবারের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়েছে।
Advertisement
রোববার (৮ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের ভরতখালীর এসকেএস নূতনকুঁড়ি বিদ্যাপীঠ মাঠে এসব মাংস বিতরণ করা হয়। ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ’র সহায়তায় এসকেএস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ আয়োজন হয়।
এসময় ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া, ফুলছড়ি, উড়িয়া ও উদাখালী ইউনিয়ন এবং সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী, সাঘাটা, মুক্তিনগর, জুমারবাড়ী ও কামালেরপাড়া ইউনিয়নের থেকে মানুষ মাংস নিতে জড়ো হন।
গজারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আজিজার রহমান বলেন, নদী ভাঙনের কারণে এ এলাকার অধিকাংশ মানুষ এখন গরিব হয়ে গেছে। যাদের কোরবানি দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। এসব দুস্থ-গরিব মানুষের মাংস কিনে খাওয়া স্বপ্নের মতো। ঈদের পরের দিন কোরবানির মাংস দিয়েছে এসকেএস। সেটুকু রান্না করে পরিবারের সবাই খেয়েছেন।
Advertisement
মাংস বিতরণের আগে এক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এসকেএস ফাউন্ডেশনের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামসের উপ-পরিচালক খন্দকার জাহিদ সরোওয়ার। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শামছুজ্জামান, টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর জাকির হোসাইন, এপিও আহসান হাবিব, এসকেএস এন্টারপ্রাইজ হেড অব আবু সাঈদ সুমন ও এসকেএস রিসোর্স সেন্টারের ম্যানেজার মিজানুর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসকেএস ফাউন্ডেশনের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামসের উপ-পরিচালক খন্দকার জাহিদ সরোওয়ার বলেন, ঈদের সময় প্রান্তিক পরিবারগুলো যাতে উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারে ও পুষ্টিকর খাবার পায়, সে লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি।
ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শামছুজ্জামান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও সুবিধা বঞ্চিত ও দরিদ্র ৬৯ হাজার পরিবারের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। এই মাংস বিতরণ কার্যক্রম শুধু একটি বিতরণ কার্যক্রম নয়, বরং যে সকল পরিবার সারাবছর মাংস খেতে পারে না, তাদের পারিবারিক পুষ্টি যোগাতেও সাহায্য করবে। এই কার্যক্রম আমরা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখা ও এসব পরিবারের সামগ্রিক উন্নয়নে আরও কী করা যায় সে বিষয়ে আমরা চিন্তা করছি।
আনোয়ার আল শামীম/এমএন/এমএস
Advertisement