ঈদের ছুটিতে এক দিন বন্ধ থাকার পর, রোববার থেকে চাকা ঘুরছে মেট্রোরেলের। আজ সোমবার (৯ জুন) ঈদের তৃতীয় দিন সকাল থেকেই নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে মেট্রোরেল। তবে মেট্রোতে ওঠা অধিকাংশ যাত্রীর গন্তব্য বিনোদন কেন্দ্র।
Advertisement
বিজয় সরণি, আগারগাঁও ও পল্লবী স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশন ও টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় খুব একটা নেই। তবে মেট্রোরেল যাত্রীতে পূর্ণ। এই তিন স্টেশন থেকে যারা উঠেছেন কেউ বসার জায়গা পাননি।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগেরই গন্তব্য বিনোদন কেন্দ্র।
উত্তরা দিয়াবাড়িসহ বিভিন্ন স্পট, আগারগাঁও বিমান জাদুঘর, জিয়া উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা পার্কে যাওয়ার যাত্রী বেশি দেখা গেছে।
Advertisement
দুপুরের দিকে এক পশলা বৃষ্টিতে পথচারী ও যাত্রীদের মেট্রো স্টেশনের সিঁড়িতে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:
ঈদ আনন্দে মেতেছে রাজধানীবাসী ফাঁকা ঢাকায় ভোগান্তিহীন যাত্রায় খুশি নগরবাসীমেট্রোরেলে কাঁচা ও রান্না করা মাংস নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেকেই তা নিয়ে যাতায়াতের চেষ্টা করেন।
আগারগাঁও থেকে উত্তরাগামী মেট্রোতে কথা হয় পুরান ঢাকার বাসিন্দা ইসহাক হোসেনের সঙ্গে। স্ত্রী-সন্তান ও মাকে নিয়ে শাহবাগ স্টেশন থেকে উঠেছেন তিনি। উদ্দেশ্য মেট্রোরেল ভ্রমণ ও দিয়াবাড়ি যাওয়া।
Advertisement
তিনি বলেন, পুরান ঢাকার দিকে যতগুলো বিনোদন কেন্দ্র আছে সবগুলো ঘোরা হয়েছে। আজ এদিকে আসলাম। দিয়াবাড়ি কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আবার মেট্রোতে বাসায় ফিরবো।
দুই বন্ধুকে নিয়ে ইব্রাহীমপুর থেকে বিজয় সরণি এলাকায় ঘুরতে এসেছেন ইব্রাহিম মিয়া। তার সঙ্গে কথা হয় বিজয় সরণি স্টেশনে। তিনি বলেন, মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১০ মিনিটে মেট্রোরেলে চড়ে চলে এলাম এখানে। চন্দ্রিমা উদ্যান ঘুরবো। সন্ধ্যার আগেই বাসায় ফিরবো।
তিনি বলেন, মেট্রো যখন ছিল না তখন এই পথ যাতায়াতে খরচ ১৫০-২০০ টাকা। এখন ৪০-৫০ টাকায় যাওয়া যায়।
এসএম/এসএনআর/এমএস