যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঠেকাতে গত রোববার (৮ জুন) লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছেন এবং দ্রুত সৈন্যদের প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
Advertisement
এদিন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা ফেডারেল ভবনের আশপাশে অবস্থান নেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভ চলাকালে কংক্রিট, বোতল ছোড়ার অভিযোগ এনে পুলিশ বেশ কয়েকটি সমাবেশ ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে। ভিডিওতে দেখা যায়, আলফাবেটের ওয়েমো কোম্পানির কয়েকটি স্বচালিত গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন>>
যুক্তরাষ্ট্রে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ ধরপাকড় ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা লস অ্যাঞ্জেলেসে নিরাপত্তা বাহিনীর ২ হাজার সদস্য মোতায়েন অভিবাসী গ্রেফতারের গুজবে যেভাবে উত্তাল হয়ে উঠলো লস অ্যাঞ্জেলেসলস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ঘোড়ায় চড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা ‘লজ্জা হওয়া উচিত’ বলে স্লোগান দেন এবং একদল ১০১ ফ্রিওয়ে অবরোধ করে। শহরের বিভিন্নস্থানে মেক্সিকান পতাকা ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষবিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে লোকজন জড়ো হয়।
Advertisement
গভর্নর নিউসম বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন রাজ্যে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়ে ‘ক্যালিফোর্নিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন’ করেছে। তিনি বলেন, ‘এটি একজন স্বৈরশাসকের কাজ, প্রেসিডেন্টের নয়।’
হোয়াইট হাউজ পাল্টা দাবি করেছে, ‘সবাই বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা দেখেছে।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের ‘সহিংস বিদ্রোহী গোষ্ঠী’ আখ্যা দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওরা থুথু ছিটালে, আমরা আঘাত করবো।’ তবে ‘ইনসারেকশন অ্যাক্ট’ এখনো কার্যকর করেননি তিনি।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইটেল ১০ অনুযায়ী ন্যাশনাল গার্ডের মোতায়েনে সাধারণত গভর্নরের অনুমতি প্রয়োজন। নিউসম বলেছেন, ট্রাম্প তার অনুমতি ছাড়াই সৈন্য মোতায়েন করেছেন, যা আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সূত্র: রয়টার্সকেএএ/
Advertisement