আষাঢ় মাসে কাঠফাটা গরম কমাতে আসে বর্ষাকাল। অবিরাম বৃষ্টির ছোঁয়ায় নদী, খাল, বিল ফিরে পায় যৌবন। গাছপালা পায় সবুজ প্রাণ। অপরূপ হয়ে সেজে ওঠে ফসলের মাঠ। কৃষিকাজে আসে ব্যস্ততা। তাই জেনে নেওয়া জরুরি, আষাঢ় মাসে আউশ ধান চাষে করণীয় সম্পর্কে।
Advertisement
আউশ ধানের ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনীয় অন্যান্য যত্ন নিতে হবে। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগ ও পোকামাকড় দমন করতে হবে। বন্যার আশঙ্কা হলে আগাম রোপণ করা আউশ ধান শতকরা ৮০ ভাগ পাকলেই প্রয়োজনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে কেটে ফেলতে হবে। পরে মাড়াই-ঝাড়াই করে শুকিয়ে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
বায়ুরোধী পাত্রে বীজ রাখা উচিত। বীজ রাখার জন্য ড্রাম ও বিস্কুট বা কেরোসিনের টিন ব্যবহার করা ভালো। পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে। ধাতব অথবা প্লাস্টিক ড্রাম ব্যবহার করা সম্ভব না হলে মাটির মটকা, কলস বা মোটা পলিথিনের থলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন
Advertisement
মাটির পাত্র হলে পাত্রের বাইরের গায়ে দুবার আলকাতরার প্রলেপ দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। রোদে শুকানো বীজ ঠান্ডা করে পাত্রে ভরতে হবে। পাত্রটি সম্পূর্ণ বীজ দিয়ে ভরে রাখতে হবে। যদি বীজের পরিমাণ কম হয়, তবে বীজের ওপর কাগজ বিছিয়ে তার ওপর শুকনো বালি দিয়ে পাত্র পরিপূর্ণ করতে হবে।
পাত্রের মুখ ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে। যেন বাতাস ঢুকতে না পারে। বীজের পাত্র মাচায় রাখা ভালো। যাতে পাত্রের তলা মাটির সংস্পর্শে না আসে। গোলায় ধান রাখলে ১ মণ ধানের জন্য আনুমানিক ১২০ গ্রাম নিম বা নিশিন্দা অথবা বিষকাটালির পাতা গুঁড়া করে মিশিয়ে দিয়ে সংরক্ষণ করলে পোকার আক্রমণ প্রতিহত হয়।
এসইউ/এমএস
Advertisement