দেশজুড়ে

যানবাহনের চাপ বাড়লেও ভোগান্তি নেই

যানবাহনের চাপ বাড়লেও ভোগান্তি নেই

ঈদ শেষে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মমুখী মানুষ। বুধবার (১১ জুন) বিকেল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে মহাসড়কে কোনো ভোগান্তি নেই।

Advertisement

মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইল মোড় ও কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাসে চড়ে বাসস্ট্যান্ডগুলোতে এসে যাত্রীরা নামছেন। ফলে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরও উপস্থিতি বেড়েছে। এদিকে ফাঁকা সড়কে স্বস্তির যাত্রায় আনন্দিত যানবাহন চালকরা।

ফেনী থেকে ফিরেছেন জিয়াউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রাস্তা একেবারে ফাঁকা থাকায় আরামে অল্প সময়ে ফিরতে পেরেছি।’

পোশাকশ্রমিক আসাদুজ্জামান নূর সিলেট থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘১৩ তারিখে আমাদের ফ্যাক্টরি চালু হবে। তাই একদিন আগে ফিরে এসেছি। লম্বা ছুটি পাওয়া বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে পেরেছি। রাস্তা একেবারে ফাঁকা।’

Advertisement

দূরপাল্লার কয়েকজন বাসচালক বলেন, ‘গত দুদিন ধরে ফেরার যাত্রীর যথেষ্ট চাপ রয়েছে। সড়ক ফাঁকা থাকায় যাতায়াত আরামদায়ক হচ্ছে।’

শিমরাইল বাসস্ট্যান্ডের টিকিট কাউন্টারের সেন্টমার্টিন পরিবহনের দায়িত্বরত মেহেদী হাছান বলেছেন, ‘ফেরার যাত্রীর উপচেপড়া ভিড় আছে। কিন্তু যাওয়ার যাত্রীর সংখ্যা একেবারে শূন্যের কোটায়।’

সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ডের শ্যামলী পরিবহনের এক টিকিট বিক্রেতা জানান, ‘গতকাল থেকে যাত্রীর অনেক রয়েছে। গার্মেন্টস কারখানা ১৩-১৪ তারিখ চালু হবে তাই মানুষ ফিরতে শুরু করছে।’

এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ছুটি আছি। তবে আমাদের পুলিশ সদস্যরা সড়কের প্রতি খেয়াল রাখছেন। যানবাহন আর যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে বলে আমার কাছে খবর আছে।’

Advertisement

মো. আকাশ/আরএইচ/জিকেএস