টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি- কোনো ফরম্যাটেই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ভালো না। দিনকে দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। বৈশ্বিক অবস্থানগত দিক থেকে তলানীতে এখন টিম বাংলাদেশ।
Advertisement
ব্যাটিংয়ের অবস্থা নড়বড়ে। টপঅর্ডার; বিশেষ করে উদ্বোধনী জুটির অবস্থা বেশ খারাপ। রীতিমতো কাঁচের মত ভাঙাচোরা। দলে দক্ষ ও জেনুইন টেস্ট ওপেনারের সংকট ভীষণ। পুরো ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টে মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক ছাড়া আর কোনো পরিণত, অভিজ্ঞ বা মানসম্পন্ন ব্যাটার নেই।
লিটন দাস ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এখনো ঠিক ওই পর্যায়ে যেতে পারেননি। একজন ম্যাচ উইনিং বোলার নেই। তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদের কেউই ম্যাচ জেতানো বোলার হয়ে উঠতে পারেননি। সাকিব আল হাসানের অভাবটা ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও স্পষ্ট অনুভূত হয়।
তারপরও তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে স্পিন বোলিং ডিপার্টমেন্টকে একটা পর্যায়ে রেখেছেন। সামগ্রিকভাবে দলে ভালো মানের টেস্ট ক্রিকেটারের অভাব পরিষ্কার।
Advertisement
তবে দলের কোনো বড় ঘাটতি বা শূন্যতা চোখে পড়ে না অধিনায়ক শান্তর। বর্তমান দল নিয়ে কোনো অসন্তোষ নেই টাইগার কাপ্তানের।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে আজ বৃহস্পতিবার শেরে বাংলায় সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট দল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শান্তর মূল্যায়ন, ‘দল নিয়ে আমি খুবই খুশি। দলে যেসব ক্রিকেটারদের চেয়েছি, শতভাগ পেয়েছি। তাই অধিনায়ক হিসেবে দল নিয়ে আমি খুশি।’
লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট স্কোয়াডে কোনো ব্যাকআপ ওপেনার রাখেনি বাংলাদেশ। ওপেনার হিসেবে রাখা হয়েছেন সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়কে। কেন ব্যাকআপ রাখা হয়নি, সেই প্রশ্নও উত্থাপন করা হয়েছে শান্তর সামনে।
এ বিষয়ে শান্ত বলেন, ‘আপনি বললেন, ওপেনারের বিকল্প নেই। যখন খেলা শুরু হবে, তখনই বুঝতে পারবেন আমরা কী চিন্তা করে দলটা বানিয়েছি। ওই বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন, কেন দলে একটা ওপেনার কম। কম্বিনেশনটা দেখলে সবার পক্ষে আরও ভালোভাবে বুঝতে সুবিধা হবে। আমাদের দলে ৪টা করে পেসার ও স্পিনার আছে। মানে ভারসাম্যটা আছে। আমরা কন্ডিশন দেখে দুই ধরনের কম্বিনেশনেই যেতে পারি। দল নিয়ে আমি খুশি। ভারসাম্য করার মতোই দল।’
Advertisement
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম