ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এই ফ্লাইটের ত্রুটি বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ২টা পর্যন্ত ঠিক করা যায়নি। ফলে দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে বসে ভোগান্তিতে পড়েছেন ফ্লাইটের যাত্রীরা।
Advertisement
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই রোগী ও তাদের স্বজন। চিকিৎসার জন্য তারা ব্যাংকক যাচ্ছিলেন। এত দীর্ঘ অপেক্ষা ও অনিশ্চয়তা তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
ফ্লাইটের যাত্রীরা জানান, ফ্লাইটটি বুধবার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের কথা ছিল। এজন্য তারা রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে বিমানবন্দরে এসে উপস্থিত হন। তবে ইমিগ্রেশন শেষ করে প্লেনে ওঠার আগে তারা জানতে পারেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি আপাতত ছাড়ছে না। প্রায় ১৫-১৬ ঘণ্টা ধরে সবাই ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন ভারতে প্লেন বিধ্বস্ত, হতাহতের শঙ্কা লন্ডনে যাচ্ছিল ভারতে বিধ্বস্ত প্লেনটি উড্ডয়নের পরপরই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেন, ভিডিও ভাইরালফ্লাইটের যাত্রী আরিফুজ্জামান তুহিন সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল হঠাৎ আমাদের বলা হলো ফ্লাইট ছাড়ছে না। ফ্লাইটটি ত্রুটি সারিয়ে কখন ছাড়বে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। যোগাযোগের জন্য তিনটি নম্বর দিয়েছে। এর মধ্যে দুটিই বন্ধ। তৃতীয় নম্বরটি কেউ ধরে না। যে যার মতো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কোনো নির্দেশনা নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হলেও কর্তৃপক্ষের কেউ সামনে এসে সঠিক তথ্য দেননি বা বিকল্প ফ্লাইটের কোনো আশ্বাসও দেননি।
Advertisement
তিনি বলেন, ফ্লাইটের অধিকাংশ যাত্রীই চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। আমিও আমার স্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আমাদের ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। আমরা সেটা মিস করেছি। আমরা তাদের বারবার অনুরোধ করেছি আমাদের অন্য কোনো ফ্লাইটে যাত্রার ব্যবস্থা করে দিতে। তারা করেননি। আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগও করছে না। এছাড়া ফ্লাইটে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ হুইলচেয়ারে, কেউ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। বিমানবন্দরে তাদের বিশ্রামের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজালাল বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের স্টেশন ম্যানেজারের অফিসিয়াল নম্বরে ফোন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কয়েকবার ফোনে ব্যস্ত পাওয়া গেছে, কয়েকবার ফোন বাজলেও তিনি ধরেননি।
এমএমএ/বিএ/জেআইএম
Advertisement