আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের যে কোনো দিন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তার এ ঘোষণায় সন্তুষ্ট নয় বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল। সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবিও আছে কিছু দলের। কেউ কেউ নির্বাচন চাইছেন ফেব্রুয়ারিতে।
Advertisement
জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। এরমধ্যেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ প্রস্তাব করেছে ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ নামে একটি সংগঠন। তারা নাগরিক সমাজের পক্ষে এ প্রস্তাব করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) নাগরিক কোয়ালিয়শনের সহ-সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম ও আইরিন খানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ রোডম্যাপ ও এর সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়।
প্রস্তাবিত রোডম্যাপে নাগরিক কোয়ালিশন নভেম্বর মাসে তফসিল ঘোষণা এবং ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করার বিষয়টি তুলে ধরেছে।
Advertisement
তার আগে কিছু বিষয় নিয়ে সরকারকে কাজ করার আহ্বানও জানানো হয়েছে। প্রস্তাবিত রোডম্যাপে সংগঠনটি ৩০ জুলাই থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সময়ের মধ্যে কিছু সংস্কার, সংশোধনী শেষ করে জাতীয় নির্বাচন করার বিষয়টি সামনে এনেছে।
প্রস্তাবিত রোডম্যাপে কবে, কী হবে৩০ জুলাই ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিশেষ অর্ডিন্যান্স (৩০ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত যাদের ১৮ বছর বয়স হবে, তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে অর্ডিন্যান্স) জারির শেষ তারিখ।
৩১ আগস্ট জুলাই চার্টার, আইনি ও সাংবিধানিক সংস্কার সংক্রান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানোর তারিখ।
৩০ সেপ্টেম্বর জুলাই চার্টার, আইনি ও সাংবিধানিক সংস্কার সংক্রান্ত ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিল প্রস্তুত ও সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত গেজেটের শেষ তারিখ।
Advertisement
৩০ অক্টোবর ভোটার তালিকা হালনাগাদের শেষ তারিখ।
৯ নভেম্বর বিভিন্ন আইন পরিবর্তনের অর্ডিন্যান্স জারির শেষ তারিখ।
২৩ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার শেষ তারিখ।
১ ডিসেম্বর মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ।
১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাগরিক কোয়ালিশন উল্লেখ করেছে, আগামী ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের মুখে অত্যন্ত আশাপ্রদ ঘটনা।
প্রস্তাবিত রোডম্যাপ প্রসঙ্গে সংগঠনটি বলছে, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নাগরিক কোয়ালিশন ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের লক্ষ্যে যে রোডম্যাপটি প্রস্তাব করছে, তা আমরা মনে করি বিদ্যমান সংকট নিরসনে এবং সংস্কার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইন হতে পারে।
এএএইচ/এমএএইচ/জেআইএম