জাতীয়

কোরবানির মাংস-মৌসুমি ফল নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে

ঈদুল আজহার ১০ দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। শনিবার ছুটির শেষ দিনেও রাজধানীতে ফিরছে কর্মজীবী মানুষজন ও তাদের পরিবার। অনেকেই কোরবানির মাংস ও মৌসুমি ফল নিয়ে ঢুকছেন ঢাকায়। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির, তবে যমুনা সেতু সংলগ্ন সড়কে যাতায়াতে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে হয়।

ঢাকায় ফেরা মানুষের ঢলে যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক এবং টাঙ্গাইল অংশের যমুনা সেতু থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটারজুড়ে এই যানজটের সৃষ্টি হয়।

ফলে যাত্রীদের তিন ঘণ্টার অধিক সময় যমুনা সেতুতে পাড়ি দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকেই ঢাকার প্রবেশদ্বার গাবতলী ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আরও পড়ুন:

ঢাকায় ফিরছে মানুষ, কমলাপুরে উপচেপড়া ভিড়

জেনিন পরিবহনে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি থেকে ঢাকায় এসেছেন শহিদুল ইসলাম। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে কাজে ফেরা তার। সঙ্গে কোরবানির মাংশ নিয়ে এসেছেন শহিদুল।

যানজট প্রসঙ্গে শহিদুল বলেন, সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতুতে ৫ থেকে ৮টা পর্যন্ত জটলা ছিল। পরে বাইপাইলেও ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম। ফ্রিজিং করে কোরবানির মাংস নিয়ে এসেছি, আমার মনে হয় মাংস অতিরিক্ত গরমে নষ্ট হয়েছে। যাওয়ার সময় জ্যাম আবার আসার সময়ও জ্যাম।

উত্তরবঙ্গসহ মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, পাবনা, ফরিদপুর রাজবাড়ী, সাতক্ষীরার যাত্রীরা আম, লিচু ও কাঁঠাল নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে।

আরও পড়ুন:

সায়েদাবাদে বাড়ছে যাত্রীর চাপ, যানজটে চরম ভোগান্তি

দিনাজপুর সদর থেকে যমুনা লাইন পরিবহনে ঢাকায় ফিরছেন নুর আলম। নগরীর টেকনিক্যাল মোড়ে নেমে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নুর আলম।

নুর আলম বলেন, দিনাজপুর থেকে ভালোভাবে বাস চলছিল কিন্তু যমুনা সেতুতে অনেক জ্যাম। তিন থেকে চার ঘণ্টা বসেছিলাম।

সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোড় থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা জ্যামে আটকে ছিল এসি বাস পাবনা এক্সপ্রেস। পাবনা এক্সপ্রেসের চালক রাজা মিয়া বলেন, ভোর পাঁচটায় যমুনা সেতুতে পৌঁছে গেছি কিন্তু অনেক সময় আটকে ছিলাম। বাইপাইলেও জটলা।

তবে যমুনা সেতুতে জটলা থাকলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে তেমন জটলা ছিল না। অনেকে স্বস্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের যাত্রী শিবলি বলেন, ঘাটে জটলা ছিল না। আল্লাহর রহমতে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে ঢাকায় আসলাম।

এমওএস/এসএনআর/এমএস