ইসরায়েলের হামলায় ইরানের আরও তিন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এ নিয়ে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হলেন। খবর এএফপির।
Advertisement
ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী সরকারের সন্ত্রাসী হামলায় দেশটির তিনজন পরমাণু বিজ্ঞানী আলী বেকাই করিমি, মনসুর আসগারি এবং সাঈদ বোরজি শহীদ হয়েছেন। ইরানি গণমাধ্যম এর আগে জানিয়েছিল যে ইসরায়েলি হামলায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়া পরমাণু বিজ্ঞানী ফেরেইদুন আব্বাসি ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্বরত ছিলেন তিনি। ইরানের পরমাণু কার্যক্রমের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরির পক্ষপাতী ছিলেন আব্বাসি।
চলতি বছরের মে মাসে ইরানের টিভি চ্যানেল এসএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলেছিলেন।
Advertisement
এছাড়া আরও যে কয়েকজন সুপরিচিত পরমাণু বিজ্ঞানী মারা গেছেন তারা হলেন-
ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি তেহরানের আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ছিলেন। আবদুল্লাহামিদ মিনৌচেহর ইরানের শহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।
এছাড়া আহমেদ রেজা জোলফাঘারি শহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং আমির হোসেইন ফেকহি শহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
অপরদিকে আইআরজিসির এরোস্পেস ফোর্স বা বিমান ও মহাকাশ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রধান ছিলেন আমির আলি হাজিযাদেহ। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির একজন শীর্ষ কর্মকর্তাও ছিলেন তিনি।
Advertisement
ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস, আইডিএফ জানিয়েছে, আইআরজিসির বিমানবাহিনীর বেশ কয়েকজন কমান্ডারের সঙ্গে মাটির নিচে একটি ঘাঁটিতে অবস্থান করছিলেন আমির আলি হাজিযাদেহ।
আইডিএফের দাবি, সেখান থেকে ইসারয়েলের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন তারা। মাটির নিচে থাকা অবস্থায় ওই ঘাঁটিতে আইডিএফ হামলা করে বলে তারা দাবি করে।
আইডিএফের বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, গত বছরের অক্টোবর ও এপ্রিলে ইসরায়েলে যে মিসাইল হামলা করেছিল ইরান, তার নির্দেশদাতা ছিলেন আমির আলি হাজিযাদেহ।
টিটিএন