ইরানের পর এবার ইয়েমেনভিত্তিক হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবার শুধু ইরান থেকে নয় ইয়েমেন থেকে হুথি বিদ্রোহীরাও হামলা চালিয়েছে। তবে এসব হামলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
এর আগে গত মঙ্গলবারও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। এক বিবৃতিতে হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করে যে, তারা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর জবাবে ইসরায়েল ইয়েমেনের হুথিদের দখলে থাকা হোদেইদাহ বন্দরে বোমা হামলা চালিয়েছে।
হুথিরা বলছে যে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেই তারা ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছে। মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর কিছুদিন হামলা বন্ধ ছিল। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার সাথে সাথে হুথিরা আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। এরই মধ্যে ইরান এবং ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যেও হুথিদের ইসরায়েলে হামলা চালানোর খবর সামনে এলো।
এদিকে শনিবার ইসরায়েলে প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ নিয়ে ইসরায়েলে দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেহরান। এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) রাতের হামলায় পুরো ইসরায়েলে সাইরেন বেজে উঠেছে। হাইফা এবং তেল আবিবসহ বেশ কিছু শহর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান।
Advertisement
ইসরায়েলি বাহিনী ইরানজুড়ে বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে বোমা হামলা চালানোর পর ইরান একযোগে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানি সরকারের পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত এবং ৮০০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন শিশুও রয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে, ‘ট্রু প্রমিজ ৩’ অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে ইসরায়েলে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হাইফা এবং কিরিয়াত এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র মাটিতে আঘাত করেছে না কি বাধা দেওয়া হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
টিটিএন
Advertisement