খেলাধুলা

চ্যাম্পিয়ন হয়ে কি কি করা যাবে, ভারতের জারি হচ্ছে ১০ দফা নির্দেশনা

চ্যাম্পিয়ন হয়ে কি কি করা যাবে, ভারতের জারি হচ্ছে ১০ দফা নির্দেশনা

আইপিএলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিজয় উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন ক্রিকেট ভক্ত।

Advertisement

বেঙ্গালুরুর এই দুঃখজনক ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো ক্রিকেট মহলকে। মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল উৎসব। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

সেক্রেটারি দেবজিত শাইকিয়া জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর মতো দুর্ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে চায় বিসিসিআই। তাই সম্ভাব্য সব দিক মাথায় রেখে কিছু নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। যা মেনে চলতে হবে আইপিএলের দলগুলোকে।

বেঙ্গালুরুর দুর্ঘটনার পর এ ধরনের অনুষ্ঠানে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিসিসিআই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই তৈরি করা হয়েছে ১০ দফা নির্দেশিকা। বিষয়টি চূড়ান্ত হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

Advertisement

কি কি থাকতে পারে এই নির্দেশনায়? একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ১০ দফা নির্দেশনায় থাকতে পারে-

১) ট্রফি জেতার ৩-৪ দিনের মধ্যে কোনো দল বিজয় উৎসব পালন করতে পারবে না।

২) তাড়াহুড়ো করলে এবং যথাযথ পরিকল্পনা না থাকলে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হবে না।

৩) বিজয়ী দলকে বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে সরকারিভাবে অনুমতি নিতে হবে।

Advertisement

৪) বোর্ডের আগাম লিখিত অনুমতি ছাড়া এমন কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।

৫) চার থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬) অনুষ্ঠান স্থল এবং যাতায়াতের পথে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৭) বিমানবন্দর থেকে অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত যাত্রা পথসহ দলের সব যাত্রা পথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

৮) বিজয়ী দলের ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের জন্যও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখতে হবে অনুষ্ঠানের সব অংশে।

৯) জেলা পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না।

১০) আইন মেনে এবং নিরাপদে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে আগাম পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে।

বেঙ্গালুরুর দুর্ঘটনার দায় অবশ্য বিসিসিআই নেয়নি। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষের আয়োজিত অনুষ্ঠান বলে দূরত্ব তৈরি করেন বোর্ড কর্মকর্তারা।

অভিযোগ উঠেছিল, কর্নাটক প্রশাসন দু’দিন পর বিজয় উৎসব করার অনুরোধ করলেও রাজি হননি আরসিবি কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, গত ৩ জুন আইপিএল ফাইনালের পরের দিনই বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। সেখানে, স্টেডিয়ামের বাইরেই ঘটে মার্মান্তিক ঘটনাটি।

আইএইচএস/