বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের পাশাপাশি পরিবেশ মেলার উদ্বোধন করা হবে বুধবার (২৫ জুন)। এছাড়াও এদিন জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উদ্বোধন করা হবে।
Advertisement
সোমবার (২৩ জুন) সচিবালয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন, পরিবেশ মেলা, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ এ তথ্য জানান। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। কিন্তু এবার ঈদের ছুটি থাকায় এটি ২৫ জুন পালিত হবে।
সচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং বনজ সম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের বাস উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করছে। এসব কাজে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
Advertisement
‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়’ স্লোগানে এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান পালন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ফারহিনা আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫ জুন সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সম্মতি দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার-২০২৫, জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২৪, বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার-২০২৪ এবং সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে। শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিতব্য পরিবেশ মেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৯টা পর্যন্ত।
দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর ১০০টি এবং সব জেলায় ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হবে। পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে শিশু চিত্রাঙ্কন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতা, পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের জন্য সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে বলেও জানান সচিব।
তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজনে করা হবে। এ উপলক্ষে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে। ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ব্যানার স্থাপন এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হবে।
Advertisement
আরএমএম/এএমএ/এমএস