সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার হাতিয়ায় সেনাবাহিনী ও অস্ত্রধারীদের গোলাগুলির ঘটনার পর একটি একনলা বন্দুক, ৪টি পাইপ গানস চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
Advertisement
সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া অভিযানে সাতটি রামদা, নয়টি বল্লম, ছয়টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, এক রাউন্ড তাজা বুলেট এবং এক রাউন্ড ফায়ারকৃত ব্ল্যাংক কার্টিজ জব্দ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানায়, জেলার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা একরার হোসেন ও একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এমনকি এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। তবে একরার ও তার অনুসারীরা প্রায় সময় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শনী করত।
Advertisement
যার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২২ জুন) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অস্ত্র উদ্ধারে দিরাইয়ের হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় অস্ত্রধারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনায় রাতভর অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক ৪ জনকে আটক করা হয়।
তারা হলেন- তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া এবং জমির মিয়া। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহত ব্যক্তি অজ্ঞাত কোনো সন্ত্রাসীর গুলিতে মারা গেছে।
গোলাগুলির ঘটনার পর আবু সাঈদ (৩১) নামে এক রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
লিপসন আহমেদ/জেডএইচ/এমএস