রেকর্ড ভাঙা-গড়ায় যেন একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় থাকছেন সব সময়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসি। ফিফা ব্যালন ডি’অর কিংবা ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু-এর ক্ষেত্রে হয়তো রোনালদোর চেয়ে অনেক এগিয়ে মেসি। তবে, গোলের নানা মাইফলকে অনেকবারই রোনালদোর রেকর্ড ভেঙেছেন মেসি। এবার আরও একটি রেকর্ড ভাঙার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবারের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নেই। তার দল আল নাসর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি। রোনালদোকে বিশ্বকাপে খেলানোর চেষ্টা করেছিল ফিফা; কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিন্ন কোনো ক্লাবে যোগ দেননি আর রোনালদো। যে কারণে ক্লাব বিশ্বকাপেও তার অংশ নেয়া হয়নি।
Advertisement
রোনালদোর ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ না নেয়াতে তার একটি রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন তার চির প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের দ্বারপ্রান্তে আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তি ফুটবলার।
ইন্টার মিয়ামির হয়ে খেলা এই ফুটবল জাদুকর সম্প্রতি পোর্তোর বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের ম্যাচে একটি দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন। যেটা তাকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোলের রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। মেসি এখন ক্লাব বিশ্বকাপে মোট ছয়টি গোলের অধিকারী। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চেয়ে আর মাত্র একটি গোল দূরে রয়েছেন তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ৭টি গোল করে এতদিন শীর্ষে রয়েছেন রোনালদো।
৩৭ বছর বয়সী মেসি তার ক্যারিয়ারে বার্সেলোনার হয়ে ২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৫ সালে ক্লাব বিশ্বকাপে পাঁচটি গোল করেছিলেন। এবার ইন্টার মিয়ামির হয়ে পোর্তোর বিপক্ষে দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে করা গোল তাকে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করিম বেনজেমা এবং গ্যারেথ বেলের সমানে (৬টি গোল) নিয়ে এসেছে। এবার রোনালদোর সমান কিংবা তাকে পেছনে ফেলার পালা মেসির সামনে। রোনালদোর সমতায় আসতে একটি এবং তাকে পেছনে ফেলতে প্রয়োজন দুটি গোলের।
Advertisement
ইন্টার মিয়ামি মঙ্গলবার সকালে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা) তাদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে মেসির গোল করার সম্ভাবনা নিয়ে ফুটবল বিশ্বে দারুণ উৎসাহের সৃষ্টি করেছে। তিনি যদি এ টুর্নামেন্টে আরও গোল করেন, তবে ক্লাব বিশ্বকাপের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাবেন।
অন্যদিকে মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের নামের পাশে রয়েছে ৫টি অ্যাসিস্ট। তিনি যদি এই কৃতিত্বকে আরেকটু এগিয়ে নিতে পারেন, তাহলে নিশ্চিত শীর্ষে উঠে যাবেন।
মেসির এই অসাধারণ পারফরম্যান্স ইন্টার মিয়ামির জন্যও ঐতিহাসিক। পোর্তোর বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে তারা ফিফা টুর্নামেন্টে ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে প্রথম উত্তর আমেরিকার দল হিসেবে জয় পেয়েছে। মেসির নেতৃত্বে ইন্টার মিয়ামি এখন নকআউট পর্বে উঠার জন্য শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
আইএইচএস/
Advertisement