বয়স তো কম হয়নি কাইরন পোলার্ডের, ৩৮ পেরিয়ে গেছে। সাবেক ক্যারিবিয়ান এই তারকা আইপিএলে পালন করছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব। কিন্তু বিশ্বের অন্য প্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে তিনি এখনো পূর্ণাঙ্গ অলরাউন্ডার!
গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এমআই নিউ ইয়র্কের হয়ে যেভাবে ব্যাট করলেন, তাতে যে কারো মনে হতে পারে, পোলার্ড এখনো ২৫-২৬ বছর বয়সী এক যুবক। বৃহদাকার দেহের অধিকারী এই ক্যারিবিয়ান দেখালেন, এখনো ব্যাট হাতে কতটা কার্যকর তিনি।
ডালাসে যখন নিউ ইয়র্কের প্রয়োজনীয় রানরেট ১২ ছাড়িয়ে যাচ্ছে তখন নামেন পোলার্ড। এরপর মাত্র ২২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে পৌঁছে দেন ফাইনালে। অথচ পোলার্ড ক্রিজে নামার আগে প্রতিপক্ষ টেক্সাস সুপার কিংস ভেবেছিল তারাই যাচ্ছে শিরোপার লড়াইয়ে।
নিউ ইয়র্কের লক্ষ্য বেশি বড় ছিল না, ১৬৭ রানের। কিন্তু ৭ ওভারের মধ্যেই কুইন্টন ডি কক ও মাইকেল ব্রেসওয়েলকে হারায় তারা। তখন দলের স্কোর ৪৩, যেটা মূলত মোনাঙ্ক প্যাটেলের অবদানে। যদিও তার স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ১২০’র মতো।
১৩তম ওভারে মোনাঙ্ক ৪৯ রান করে আউট হলে নিউ ইয়র্কের দরকার ছিল আরও ৮৩ রান। তখন দরকার ছিল গিয়ার পাল্টানোর। উইকেটে এসে সেটিই করলেন পোলার্ড। নূর আহমেদের প্রথম বলেই ১০০ মিটারের বিশাল ছক্কা হাঁকান তিনি।
শেষ চার ওভারে ওভারপ্রতি ১২.৫০ রানের দরকার ছিল নিউ ইয়র্কের। তখন জিয়া-উল-হকের হাতে বল। পোলার্ড ছিলেন স্ট্রাইকে ওভারের দ্বিতীয় বল থেকে। তারপর হলো ৬, ৪, ৪, ২, ৬। ওই ওভারে উঠল ২৩ রান। এটাই ছিল ম্যাচের মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত, যা নিউ ইয়র্কের জন্য স্বস্তি আর টেক্সাসের জন্য এক দুঃস্বপ্ন।
এরপর নিকোলাস পুরান ১৯তম ওভারের শেষ বলে তৃতীয় ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন। ৩৬ বলে ৫২ রান করেন তিনি।
লিগ পর্বে মাত্র ১০ ম্যাচে মাত্র ৩ জয়ের পর এলিমিনেটর ও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে ফাইনালে ওঠা নিউ ইয়র্ক শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ওয়াশিংটন ফ্রিডমের।
এমএইচ/এমএস