বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার বাইরে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এ সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ নতুন একদিনের প্রত্যাশা করে, যে নতুন দিনে সব পক্ষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা অংশ নিয়েছিলাম। বাংলাদেশের শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। ১৮ এবং ২৪ সালের নির্বাচনে গণতন্ত্র থেকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য মৌলিক সংস্থার বাস্তবায়ন করতে হবে।
এদিকে, মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষায় সহায়তা দেওয়ায় ওএইচসিএইচআর মিশন কার্যালয়ের মূল লক্ষ্য। শনিবার (১৯ জুলাই) অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মধ্যে একটি তিন বছরের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এ সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশে একটি মিশন কাজ করবে, যার লক্ষ্য হবে মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষায় সহায়তা প্রদান। এ মিশনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়া। এটি বাংলাদেশকে তার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে, সংস্থানগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইনি সহায়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে।
সংবাদ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে জবাবদিহিতা ও সংস্কারের ধারাবাহিক অঙ্গীকার হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এনএস/এসএনআর/জেআইএম