পেশায় একজন রিকশাচালক রহমত আলী। কারফিউয়ের কারণে তিনদিন রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হননি। এদিকে ঘরে চাল-ডাল নেই। ছেলে-মেয়েদের জন্য বাজার করতে হবে। আজ রাস্তায় বের হয়েছেন। কিন্তু রাস্তায় লোকজন না থাকায় রোজগার হচ্ছে না।
রহমত আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘এভাবে আর কতদিন ভুগতে হবে জানি না। আমরা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাই।’
জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক কাটতে শুরু করেছে। জীবনযাত্রাও কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে রিকশা-ইজিবাইক। সকালে কিছু কিছু দোকান খুলেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে লোকজনের আনোগোনা বাড়ছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ৮টা থেকে রোববার (২০ জুলাই) ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে বলে গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে সংঘর্ষের তিন দিন পর জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। জারি করা কারফিউ ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় তিন হাজার ৪ জনকে আসামি করে চারটি মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮৩ জনকে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৌলতলী তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন বাদী হয়ে ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাড়ে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও পথসভা ভণ্ডুল করতে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের শত শত নেতাকর্মী হামলা চালান। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। দিনভর চলা সংঘর্ষে পাঁচ যুবক নিহত ও পুলিশ-সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এসআর/এমএস