বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ঘটে। এতে আহত হয়ে অন্তত ৮৫ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
আহতরা হলেন- হাসান (১৮), সেরাতুল (২২), সাকিব (১৯), তানভীর (১৯), রিফাত (১৯), রিজন (২০), সামিয়া (১৮), সামির (১৯), তামিম (১৯), অজ্ঞাত পরিচয় (১৮), ইমন (২০), অজ্ঞাত পরিচয় (২০), সিয়াম (১৮), সাকিল (২০), মেহেদী (২০), সাদমান (১৮), মারুফ (২২), সাকিব (১৮), মাহিন (১৯), রোহান (২০), হাসিব (২০), মুগ্ধ (১৯), মাহিম (২০), হাসিব (১৯), সায়েম (১৮), অজ্ঞাত পরিচয় (২০), জিদান (২০)।
এছাড়াও রয়েছেন নিহার (২০), রায়হান (২০), রোমান (১৮), প্রান্ত (১৯), নাহিদ (২০), অন্তু (২০), বিশাল (২০), ইমরান (২০), আহনাদ (১৮), মাহি (২০), নাঈম (১৮), সামি (১৮), স্বাধীন (২০), তাসিন (১৮), ইমরান (১৯), ধ্রুব (১৯), শান্ত (২০), তানিম (২০), আজহারুল (২০), তন্ময় (১৯), জিসান (১৯), রাসেকুন (২০), পারভেজ (২০), নাঈম (১৯), বিজয় (১৭), আসাদ (২০), নিহার (২০), নাফিজ (১৮), সাহিন (২০), কিশোর (১৮), তানভীর (১৮),ফারদিন (১৯), শাহরিয়ার (২০), অজ্ঞাত পরিচয় (১৯), সাঞ্জু (১৯), রাইয়ান (১৯), কলি (১৯), আব্দুল খালেক (৬৫), হাসিব (১৮), সিনান (১৮), তাসফি (২২), মামুন (২০), রিফাত (১৮), আসাদ (২১), মাহিন (২০), আতিক (১৮), তানভীর (১৮), হাবিব হাসান (সাংবাদিক মানবজমিন) (২৪), কনা (২১), ইমন (১৯),ফাহাদ (১৮), ইয়াসিন আরাফাত শান্ত (২০), অজ্ঞাত পরিচয় (১৯) এবং শাকিল (২০)।
এর আগে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের এক নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা গাড়ি ভাঙচুর চালালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন
সচিবালয়ে ঢুকে গাড়ি ভাঙচুর, লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে প্রত্যাহারশিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে ১০টির মতো গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু হাজার হাজার শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্যও শিক্ষার্থীদের ছোড়া ঢিলে আহত হয়েছেন। এরপর শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্টের দিকে অবস্থান নেন। জিরো পয়েন্টের দিকে পুলিশ কয়েক দফা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, বিকেলে আহত অবস্থায় আনুমানিক ৮০ জন শিক্ষার্থী ও একজন সাংবাদিক আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আসেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
কাজী আল-আমিন/কেএসআর/এমএস