মাইলস্টোনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (২৩ জুলাই) জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি চৌধুরীপাড়ায় মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিস্থলে যান তারা। এসময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার এএফএম তারিক হোসেন খান তার সমাধিস্থলে দাঁড়িয়ে আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রার্থনা করেন। শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জলঢাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন, জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মাহেরীনের বাবার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি গ্রামে। তার বাবা মহিতুর রহমান চৌধুরী ও মা সাবেরা চৌধুরীর কবরের পাশে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। মাহেরীন ছিলেন স্থানীয় বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্বাহী কমিটির সভাপতি।
বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহুবার রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মাহেরীন চৌধুরী শুধু একজন শিক্ষক ছিলেন না, ছিলেন মানবতার ও দায়িত্ববোধের এক অনন্য প্রতীক। তিনি নিজের জীবনের চিন্তা করলে হয়তো বেঁচে ফিরতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। তার এ আত্মত্যাগ বিচিত্র মনে জনে জনে মানবতার শিক্ষা দিয়ে গেছে।
এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে যুদ্ধবিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জুনিয়র সেকশনের ক্লাসরুমে বিধ্বস্ত হয়। এতে মুহূর্তেই বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় ভবনে। এসময় পাশের একটি ভবন থেকে বেশ কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন মাহেরীন। শিশুদের নিরাপদে নেওয়ার একপর্যায়ে নিজেই আগুনে আটকা পড়েন তিনি। শরীরের অধিকাংশ দগ্ধ হয় তার। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
আমিরুল হক/জেডএইচ/জিকেএস