ওই নীল আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নেবসতো সবাই পাঠে, স্বপ্নগুলো যে ছাই হয়ে গেলোবিদ্যালয়েরই মাঠে।
আসমান থেকে আছড়ে পড়লোযুদ্ধবিমান একখানা,ঝলসে দিলো কত সোনামুখমায়ের লক্ষ্মী সোনা।
কোথায় ওরে সোনা জাদুমণি আয় রে ছুটে আয়,তোর তালাশে দেখ আমাদের যায় রে পরান যায়।
যাওয়ার সময় যার মুখে তুইদিয়েছিলি চুমু আঁকি,শূন্য বুকটা চাপড়ে মা তোরকরছে ডাকাডাকি।
রাস্তার ধারে পাগলিনী বেশেবসে আছেন জননী,মূর্ছা যাচ্ছেন বার বার তোরহতভাগা মা দুঃখিনী।
সেই যে ভোরে দূর থেকে তুই‘হাই’ বলে গেলি চলে,দাদুভাই তোর খায়নি এখনো একসাথে খাবে বলে।
অপলক তোর পথপানে চেয়ে ফিরছে না যে ঘরে,নির্বাক এখনো দাদিজান তোরযাবেই বুঝি মরে।
আদরের ছোট বোনটিও দেখকাঁদছে থরে থরে,কে হবে তার খেলার সাথীনা ফিরিস যদি ঘরে।
এত পোড়া দেহ বিকৃত মুখযাচ্ছে না দেখে চেনা,সেখানে কি রেখেছিস ওরেতোর সোনা দেহখানা?
আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখতিতুই রোজ দিবানিশি,ছাই হয়ে তাই উড়ে গেলি বুঝিআকাশটা ভালোবাসি।
তোরে নিয়ে কত সুখের স্বপ্নে সাজিয়েছি এই বুক,স্বপ্নগুলো ধোঁয়া হয়ে আজিভেঙেছে সকল সুখ।
কোথাও তোর মিলছে না খোঁজআয় খোকা ফিরে আয়,নয়নের জলে ভাসছে সকলেকাঁদে সব অসহায়।
এসইউ/জিকেএস