বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার আজ পাঁচদিন। সকালে স্কুলে এসেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদ সিদ্দিকী। সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জুনায়েদ। সাংবাদিকদের সেদিনের ঘটনার কথা জানালো সে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে গলায় স্কুলের পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ সিদ্দিকী। আধাঘণ্টা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেলা সাড়ে ১১টায় বের হয় সে।
আরও পড়ুন: ট্রমা কাটেনি শিক্ষার্থীদের, চলতি সপ্তাহেও বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন মাসুমা নামে আরও একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩৫ এবার মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলো জারিফএ সময় স্কুলের গেটের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জুনায়েদ। সে জানায়, ওদিন বিমান দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দ হয়েছিল। মনে হয়েছিল কানের পর্দা ফেটে যাবে। আতঙ্কে সবাই ছোটাছুটি করি। একপর্যায়ে শান্ত হয়ে স্কুলের যে ভবনটিতে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে আসি। দেখি শিশু শিক্ষার্থীদের হাত-পা ছড়িয়ে ছিটে আছে। বহু শিক্ষার্থী আগুনে পুড়ে গেছে। এমন করুণ দৃশ্য বলে বোঝানো যাবে না। এখন রাতে ঘুমাতে গেলে এই দৃশ্য চোখে ভেসে উঠে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে ক্লাস-পরীক্ষা দেবো মাথায় আসে না।
এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাও আজও জারিফ নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। মারা গেছেন মাসুমা নামে আরও একজন। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হলো। আহত আরও অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এমএমএ/এসএনআর/এএসএম