শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ৮ পরীক্ষককে আজীবন অব্যাহতি

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র (ওএমআর) মূল্যায়নে দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে আট পরীক্ষককে পাবলিক পরীক্ষার সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অব্যাহতি পাওয়া আট পরীক্ষক হলেন- সাভারের সেন্ট যোসেফ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চতর গণিতের শিক্ষক মহসীন আলামীন, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার শিক্ষক মো. সাখাওয়াত হোসাইন আকন, ঢাকার নবাবগঞ্জের মুন্সীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক, টাঙ্গাইলের বাসাইলের সুল্লা আব্বাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মো. আলেকজাণ্ডার মিয়া, নরসিংদীর বেলাবোর বারৈচা কলেজের বাংলার শিক্ষক মধুছন্দা লিপি, ডেমরার রোকেয়া আহসান কলেজের ইংরেজির শিক্ষক মুরছানা আক্তার, সাভারের হাজী ইউনুছ আলী কলেজের বাংলার প্রভাষক মো. জাকির হোসাইন ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলার প্রভাষক মো. রাকিবুল হাসান।

আরও পড়ুন শিক্ষার্থীদের বৃত্ত ভরাটের ছবি ভাইরাল, ৮ পরীক্ষককে শোকজ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এই পরীক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দিয়ে উত্তরপত্রের ওএমআরের বৃত্ত ভরাট করিয়েছেন। যার স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাবে তারা সবাই দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। বোর্ড কর্তৃপক্ষও তদন্ত করে তাদের অপরাধের সত্যতা পেয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, পরীক্ষকদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন পাবলিক পরীক্ষার সব কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এএএইচ/এএমএ/জেআইএম