নতুন সফটওয়্যার পরিচালনা এখনো সমস্যা আছে বলে জানিয়েছেন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) স্বপন কুমার বালা। বুধবার দুপুরে ডিএসইর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চিফ রেগুলেটরি অফিসার জিয়াউল হাসান খান, মার্কেট ডেভেলপমেন্টের জি.এম সামিউল ইসলাম, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান ।নতুন প্রজন্মের সফটওয়্যার চালু করার পরেও পুঁজিবাজারে লেনদেন কম হওয়া ও সফটওয়্যারের বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।এসময় তিনি বলেন, নতুন সফটওয়্যার চালুর পরে এখনো বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। সফটওয়্যার পরিচালনা ও ব্যবহার নিয়ে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। সফটওয়্যার পরিচালনায় শীঘ্রই আরো একটি গাইড দেওয়া হবে নিবন্ধিত ব্রেকারেজ হাউসগুলোকে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অসুবিধায় আছি।উল্লেখ্য, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই)চলতি মাসের ১১ তারিখে নতুন প্রজন্মের সফটওয়্যার চালু করে। উদ্ধোধনের সময় বলা হয়েছিল এই সফটওয়্যার নতুন সময়ের সূচনা করবে। কিন্তু দীর্ঘ ২০ দিনেও পুঁজিবাজারের লেনদেনের উন্নয়ন হয়নি। উল্টো লেনদেনের পরিমাণ কমে গেছে।তিনি আরো বলেন, নতুন সফটওয়্যারের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেনের লাগা ও হাওলা চার্জ নির্ধারণ নিয়ে সমস্যা আছে। ডিএসই আরো ভাবছে কিভাবে চার্জ নির্ধারণ করা যায়।স্বপন কুমার বালা বলেন, ডিএসই’র পিইরেশিও ছাড়া সব ধরনরে সূচকের উন্নতি হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। আর সূচকের প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ।তিনি বলেন, চলতি বছর ডিএসই’র বাজার মূলধন ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে এটি ৩ লাখ ২৬ হাজার কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। এই হিসাবে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৩ শতাংশ। বছরের শুরুতে ডিএসই’র প্রধান সূচক ছিল ৪ হাজার ৮৬৫ পয়েন্টে। বছর শেষে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৬৪ পয়েন্টে। যা ১৪ শতাংশ বেড়েছে।