কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পোশাক শিল্পের বাজার বৈচিত্র্যকরণের ওপর জোর দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি অমিত সম্ভাবনার বাজার।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) কান্ট্রি প্রতিনিধি কাজুইকি কাটাওকা। এ সময় এ কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।
সভায় জেট্রো ঢাকা কার্যালয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর শেখ মোহাম্মদ শরিফুল আলমও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান, সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী এবং পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল।
বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, বাংলাদেশের জন্য জাপান বাজারের অপার সম্ভাবনা, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন যুক্তষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব প্রভৃতি বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে জাপানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি হলেও, এর প্রকৃত সম্ভাবনা আরও অনেক বেশি এবং এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে জেট্রোর সক্রিয় সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজিএমইএ সভাপতি জেট্রোর কান্ট্রি প্রতিনিধি কাজুইকি কাটাওকাকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়া বাংলাদেশ ও জাপানের পোশাক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ম্যাচ-মেকিং সেশন আয়োজন এবং সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উভয়পক্ষ জাপান-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি নিয়ে চলমান নেগোশিয়েশন বিষয় নিয়েও কথা বলেন। বিজিএমইএ সভাপতি এ চুক্তিতে এক-স্তর বিশিষ্ট রুলস অব অরিজিন অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, এর ফলে রপ্তানি প্রক্রিয়া আরও সহজ ও সুলভ হবে।
জেট্রো প্রতিনিধি কাজুইকি কাটাওকা বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগ অংশীদার এবং অনেক জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী। তবে এজন্য বন্দর ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিক উন্নয়ন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়ানো জরুরি।
বিএ/এএসএম