আইন-আদালত

বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের এমডি ওয়াসিউর রিমান্ডে

বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়াসিউর রহমানের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা অর্থপাচার মামলায় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. ছায়েদুর রহমান।

এদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন বিচারক। এর আগে গত বুধবার রাজধানীর মধ্যবাড্ডা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধার এবং বিদেশে অর্জিত সম্পত্তির তথ্য উদঘাটনের জন্য নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর প্রয়োজন। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের এমডি গ্রেফতার 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানি বাণিজ্যে বেক্সিমকো থেকে জনতা ব্যাংক পিএলসির অনুকুলে করপোরেট গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। বেক্সিমকো গ্রুপের করপোরেট গ্যারান্টেড প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ অ্যাপারেলস ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে জনতা ব্যাংক থেকে তিনটি এলসিং সেলস কন্ট্রাক্ট (বিক্রয় চুক্তি) গ্রহণ করেন। এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসিত হয়নি।

আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করার রপ্তানিমূল্য ৪ মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ওয়াসিউর রহমান তার অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানি করেন। এর মাধ্যমে ২৮ লাখ ৩২ হাজার ৪২৮ ইউএস ডলার রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসন না করে দেশের বাইরে নিজেদের ভোগ বিলাস এবং সম্পদ সংগ্রহের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেছেন।

এমআইএন/এমআইএইচএস/জিকেএস