ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) কর্তৃক আনীত অনিয়মের অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতা। বৃহস্পতিবার তার ক্লাব ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০২৪ সালের মে মাসে পাকেতার বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রিমিয়ার লিগের চারটি ম্যাচে হলুদ কার্ড পেয়েছেন। এই ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল নভেম্বর ২০২২ থেকে আগস্ট ২০২৩ সালের মধ্যে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে পাকেতার আজীবন নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে পুরো তদন্তপ্রক্রিয়া জুড়ে সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
তদন্তের এফএ-র দুটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে পাকেতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যেখানে বলা হয়েছিল, তিনি প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেননি ও প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করেননি। তবে বৃহস্পতিবার একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক কমিশন তাকে মূল অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়।
লিখিত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অধিকার রয়েছে এফএ-র। তবে সংস্থাটি ব্রাজিলিয়ানের বিরুদ্ধে আপিল করবে কিনা সেটি এখনো জানা যায়নি।
অভিযোগ তদন্তাধীন থাকলেওে পাকেতা এই সময়ে ওয়েস্টহ্যাম ও ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যান। গত মৌসুমে তিনি প্রিমিয়ার লিগে ৩৩টি ম্যাচে অংশ নেন এবং ৪টি গোল করেন।
পাকেতা বলেন, ‘এই তদন্ত শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমি আমার নির্দোষতার কথা বলে আসছি। কারণ অভিযোগগুলো ছিল অত্যন্ত গুরুতর। আমি এখন বেশি কিছু বলতে পারি না, তবে আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ এবং ফুটবলে আবার হাসিমুখে ফিরতে মুখিয়ে আছি।’
‘আমার স্ত্রী, যে কখনোই আমার হাত ছাড়েনি, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড, সব ভক্ত যারা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছেন এবং আমার পরিবার, বন্ধু ও আইনি দলের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
গত কয়েক বছরে ইংলিশ ফুটবলে জুয়াসংক্রান্ত অভিযোগ বেড়ে গেছে। ব্রেন্টফোর্ডের ফরোয়ার্ড আইভান টনি ও নিউক্যাসেলের সান্দ্রো টোনালি দুজনেই জুয়া সংক্রান্ত অপরাধে মাসব্যাপী নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন।
পাকেতা এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েস্টহ্যামের প্রাক-মৌসুম সফরে অংশ নিয়েছেন। আগামী ১৬ আগস্ট সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলতে পারবেন।
এমএইচ/এমএস