জাতীয়

কোটি টাকা আত্মসাৎ: উত্তরা ফাইন্যান্সের এমডিসহ ৫ জনের নামে মামলা

উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম শামসুল আরেফীনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এক কোটি ৩৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সাবরিনা জামান বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা- ১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উত্তরা ফাইন্যান্সের পরিচালক তাহমিনা রহমান টিনা, সাবেক এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এ জে মাসুদুল হক আহমেদ, সাবেক কর্মকর্তা মিঠু কুমার সাহা ও ইউনুস বিন রশিদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে প্রতারণার মাধ্যমে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে এবং বোর্ড সভায় উপস্থাপন বা অনুমোদন না নিয়ে প্রতারণার আশ্রয়ে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির এক কোটি ৩৩ লাখ ৪২ হাজার সরিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন।’

আরও পড়ুন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জানে আলম অপু গ্রেফতার  ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ 

আসামিদের নামে দণ্ডবিধির ৪০৯/ ৪২০/ ১০৯ ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ২০২২ সালের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আল-মদিনা হার্ডওয়্যার স্টোরের প্রোপাইটর ছিলেন আসামি ইউনুস বিন রশিদ। তিনি সাবেক এভিপি হিসেবে ২০০৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ব্যাংক হিসাব থেকে এক কোটি ৩৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা আল-মদিনা হার্ডওয়্যার স্টোরের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন।

এতে বলা হয়, শুধুমাত্র অ্যাডভাইসের মাধ্যমে সুপারিশ করে অ্যাকাউন্ট টু অ্যাকাউন্ট স্থানান্তরিত করা হয় বলে রেকর্ডদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়। ওই টাকা ট্রান্সফারের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র বা ডকুমেন্টস উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে সংরক্ষণ করা হয়নি। অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি বোর্ডে উপস্থাপন করা হয়নি এবং বোর্ডের কোনো প্রকার অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

এসএম/কেএসআর/জিকেএস