পররাষ্ট্রনীতিতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এখনো দৃশ্যমান নয় বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপত্তা ও কূটনীতি বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান। তিনি মনে করেন, শুধু আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে নয়, পররাষ্ট্রনীতিকে আধুনিক ও কার্যকর করতে কাঠামোগত পুনর্গঠন অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক ধারাবাহিক আয়োজনের অংশ হিসেবে ‘পররাষ্ট্রনীতি’ বিষয়ক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুনীরুজ্জামান বলেন, ফ্যাসিজম একটি ইকোসিস্টেম—এটি ভাঙতে হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গাঁথা ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরাতে হবে।
তিনি বলেন, কেবল আমলাদের দিয়ে পররাষ্ট্রনীতি চালানো যাবে না। এর সঙ্গে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিশেষ করে জলবায়ু কূটনীতি, প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে হলে উদ্ভাবনী ও সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।
‘আমাদের দূতাবাসগুলোকে প্রবাসীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে—হতে হবে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার,’—বলেন তিনি।
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, সামুদ্রিকনীতি নতুনভাবে প্রণয়ন করতে হবে এবং তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থাপন করতে হবে।
তিনি জানান, নদী ও পানি কূটনীতি আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনেও জোর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমানভাবে এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তি, নিরাপত্তা ও কূটনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিক বিশ্বকে অনুসরণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জেপিআই/বিএ/জিকেএস