ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সংস্কারকৃত মসজিদ ও নবনির্মিত ডিজিটাল সাইকেল গ্যারেজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) জুমার নামাজের পর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এগুলো উদ্বোধন করেন।
এসময় ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ ও হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- এসজেডএইচএম ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর, প্রাইম অ্যাসেট গ্রুপের কর্ণধার মিজানুর রহমান, কুইকনিউজবিডি.কম সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য ডিজিটাল সাইকেল গ্যারেজ নির্মাণ করায় হল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হলে প্রথমবারের মতো এ ধরনের ডিজিটাল সাইকেল গ্যারেজ স্থাপন করা হলো। হলে শিক্ষার্থীদের সাইকেল হারানোর ঘটনা প্রতিরোধে এই উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন
জবি ছাত্রদের স্বপ্ন এখন বাস্তব, যা আছে নতুন হলে রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশ, প্রার্থী হতে লাগবে ডোপ টেস্টএ প্রসঙ্গে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সাইকেলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক লোকবল প্রয়োজন হয়। এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হওয়ার ফলে গ্যারেজে খুব স্মার্টলি সাইকেল আনা-নেওয়া করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত গ্যারেজ থেকে সাইকেল চুরির একটা শঙ্কা থাকে। নিরাপত্তা প্রহরী থাকার পরও অহরহ সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কার্ড পাঞ্চ করা ছাড়া কেউ গ্যারেজ থেকে সাইকেল বের করতে পারবে না। তাই যার কার্ড সে ছাড়া আর কারও পক্ষে সাইকেল বের করা সম্ভব নয়।
প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে গ্যারেজে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করেছি। উন্নত দেশগুলোর মতো শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার চিন্তাভাবনা করছি। এতে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হবে ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
এ উদ্যোগ এরই মধ্যে প্রশংসা কুড়াচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শফিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, নিজের বিশ্ববিদ্যালয় এবং হলকে কীভাবে ধারণ করতে হয় সেটা প্রভোস্ট স্যারকে দেখে শেখা উচিত।
জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ডিজিটাল গ্যারেজ চালু হওয়ায় এখন গ্যারেজে নিশ্চিন্তে সাইকেল রাখতে পারবো। চুরি হওয়ার কোনো ভয় থাকবে না।
জসীমউদ্দিন হলের শিক্ষার্থী তারেক বলেন, এটা খুবই কার্যকরী উদ্যোগ, সব হলে চালু করা দরকার।
এফএআর/কেএসআর/এমএস