বাগেরহাটের রামপালে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২ আগস্ট) রাত থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় এই সংঘর্ষ হয়।
বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবের ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কয়েকমাস ধরে দুই সভাপতি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিভিন্ন সময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। শনিবার রাতে ইউনিয়নের বেতবুনিয়ায় মল্লিকেরবের ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল আলিমের লোকজন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শামীম হাসান পলকসহ ১১ জনকে মারধর করেন। ওই রাতেই আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মারধররের প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে রোবরার বিকেলে আব্দুল আলিমের প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী সাজারুল ইসলাম সাজু ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শামীম হাসান পলকের লোকজন পুলিশের অনুমতিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনের জন্য জড়ো হলে আব্দুল আলিম হাওলাদারের লোকজন অতর্কিতভাবে সাজারুল ইসলাম সাজু ও তার লোকজনের উপর হামলা করে। এতে সভাপতি প্রার্থী সাজারুল ইসলাম সাজুসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এই হামলার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সাজারুল ইসলাম সাজু ও তাল লোকজন আব্দুল আলিমের লোকজনের ওপর হামলা করে। তারা আব্দুল আলিমের বসতবাড়ি ও সন্ন্যাসী বাজারের ২০টি দোকান ভাঙচুর করেন।
সাবেক যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, সভাপতি প্রার্থী সাজারুল ইসলাম সাজু ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শামীম হাসান পলকের বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী নিজেদের ভরাডুবি ভেবে নির্বাচন বানচাল করার জন্য আমাদের লোকদের উপর হামলা করে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মল্লিকেরবের ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, পুলিশ আসছিল রামপাল থানা থেকে। পুলিশের সামনেই আব্দুল আলিমের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
সংঘর্ষে আহত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী সাজারুল ইসলাম সাজু বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী আব্দুল আলিম হাওলাদারের লোকজন আমাদের হামলা করে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা চেয়েছিলাম শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করতে, কিন্তু তারা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সভাপতি প্রার্থী আব্দুল আলিম হাওলাদারকে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পরিস্থিতি শান্ত রাখতে। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল ছুড়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা তাদের চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি।
নাহিদ ফরাজী/এমএন/এএসএম