ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা বিশেষ প্রসিকিউটর জ্যাক স্মিথ এখন নিজেই তদন্তের মুখে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব স্পেশাল কাউন্সেল (ওএসসি) নিশ্চিত করেছে, ফেডারেল কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রচলিত হ্যাচ অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে স্মিথের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড স্মিথকে বিশেষ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেন। ওএসসি একটি স্বাধীন সংস্থা, যার ক্ষমতা সীমিত — তারা অপরাধমূলক অভিযোগ আনতে পারে না, তবে জরিমানা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারে।
আরও পড়ুন>>
ট্রাম্পের অপমানে হতবাক ভারত, ‘প্রকৃত বন্ধুত্বে’ ফাটল ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের ঘনিষ্ঠতা: ভূরাজনীতিতে নতুন মোড় ট্রাম্পের শুল্কে চাপে মিয়ানমার, পোশাক খাতের ক্রয়াদেশ আসতে পারে বাংলাদেশেতদন্ত শুরু হলেও এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয় স্মিথ আদৌ আইন ভেঙেছেন কি না। তবে রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন অভিযোগ করেন, স্মিথ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তদন্ত চালান এবং তার লক্ষ্য ছিল জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে নির্বাচনে সহায়তা করা।
স্মিথ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন—একটি ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এবং অন্যটি মার-আ-লাগোতে গোপন নথি রাখার অভিযোগে। তবে ২০২৪ সালের নভেম্বরে ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের নীতির কারণে স্মিথ মামলা দুটি প্রত্যাহার করে নেন।
এই তদন্ত নিয়ে হোয়াইট হাউজ তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে, বাইডেন বা তার ছেলে হান্টার বাইডেনকে নিয়ে তদন্ত চালানো অন্য বিশেষ প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো তদন্ত শুরু হয়নি।
উল্লেখ্য, ওএসসিতে সম্প্রতি নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটেছে। ট্রাম্পের মনোনীত নতুন প্রধান পল ইনগ্রাসিয়া একজন কট্টর ডানপন্থি পডকাস্টার, তিনি এখনো সিনেটের অনুমোদন পাননি। বর্তমানে জেমিসন গ্রিয়ার সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান।
সূত্র: এপি, ইউএনবিকেএএ/